ঢাকা মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫

পরমাণু অস্ত্রধারী দেশের স্বীকৃতি দিতে হবে, যুক্তরাষ্ট্রকে কড়া বার্তা উ. কোরিয়ার

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২৯, ২০২৫, ০১:৫৮ পিএম
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের প্রভাবশালী বোন কিম ইয়ো জং। ছবি- সংগৃহীত

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের প্রভাবশালী বোন কিম ইয়ো জং যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে বলেছেন, উত্তর কোরিয়াকে একটি ‘পারমাণবিক অস্ত্রধারী রাষ্ট্র’ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের লক্ষ্যে কোনো সংলাপ সফল হবে না বলেও জানান তিনি। সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সিতে (কেসিএনএ) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে কিম ইয়ো জং বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার সামরিক সক্ষমতা এবং ভূরাজনৈতিক পরিবেশের পরিবর্তন ঘটেছে। এই বাস্তবতা মেনে নেওয়াই ভবিষ্যতের যেকোনো আলোচনার পূর্বশর্ত।’

তিনি আরও বলেন, ‘উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিক অস্ত্রধারী রাষ্ট্র হিসেবে অস্বীকারের যেকোনো প্রচেষ্টা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করা হবে। উত্তর কোরিয়া তার জাতীয় অবস্থান রক্ষায় যেকোনো বিকল্প পথের জন্য তৈরি।’

কিম ইয়ো জং বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে চলমান দ্বন্দ্ব উভয়পক্ষের জন্যই কোনো ফল বয়ে আনবে না। এজন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে যোগাযোগের নতুন পথ তৈরির আহ্বান জানান।

তিনি জানান, কিম জং উন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যক্তিগত সম্পর্ক খারাপ নয়। তবে সেই সম্পর্ককে ব্যবহার করে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের প্রচেষ্টা চালানো হলে তা উপহাস হিসেবেই বিবেচিত হবে।

কিম হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘যদি যুক্তরাষ্ট্র পরিবর্তিত বাস্তবতা মেনে না নিয়ে অতীতের ব্যর্থ নীতিতেই অটল থাকে, তাহলে উত্তর কোরিয়া-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বৈঠক কেবল যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা আশা হয়েই রয়ে যাবে।’

২০২৪ সালের জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফের ক্ষমতায় আসার পর ট্রাম্প আবারও কিম জং উনের সঙ্গে আলোচনার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। ২০১৮ সালে সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক শীর্ষ সম্মেলন এবং ২০১৯ সালের ভিয়েতনাম ও আন্তঃকোরীয় সীমান্ত বৈঠকেও তিনি অংশ নেন। তবে এসব বৈঠক উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচির অগ্রগতি ঠেকাতে ব্যর্থ হয়।