ঢাকা শুক্রবার, ০১ আগস্ট, ২০২৫

মিয়ানমারে নতুন আইন

নির্বাচন নিয়ে সমালোচনা করলেই গ্রেপ্তার

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২৫, ১১:২৪ এএম
মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইং। ছবি-সংগৃহীত

২০২৫ সালের ডিসেম্বর কিংবা ২০২৬ সালের জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হবে মিয়ানমারে। গত ৮ মার্চ দেশটির পার্লামেন্ট নির্বাচনের সময় ঘোষণা করেন জান্তাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইং। এবার সেই নির্বাচনের সমালোচনা, প্রতিবাদ কিংবা বানচালের জন্য কোনো পরিকল্পনা করলেই গ্রেপ্তার হতে হবে দেশটিতে, পাস হয়েছে আইনও।

‘প্রোটেকশন অব মাল্টিপার্টি ডেমোক্রেটিক ইলেকশন ফ্রম অবস্ট্রাকশন, ডিসরাপশন অ্যান্ড ডেস্ট্রাকশন’ নামের এই আইনটি মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট)  পাস এবং কার্যকর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মিয়ানমারে রাষ্ট্রায়ত্ত দৈনিক দ্য গ্লোবাল নিউ লাইট।

নতুন আইনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে—সরকারের নির্বাচন পরিকল্পনার বিরুদ্ধে যেকোনো উসকানিমূলক বক্তব্য, সমালোচনা, বিক্ষোভ, প্রতিবাদ সমাবেশ, সমালোচনামূলক লিফলেট বা প্রচারপত্র প্রকাশ ও বিতরণ অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে।

কোনো ব্যক্তি যদি সরকারের নির্বাচন পরিকল্পনার উসকানিমূলক সমালোচনা বা প্রতিবাদ করেন, সেক্ষেত্রে তার শাস্তি হবে সর্বনিম্ন ৩ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৭ বছরের কারাবাস। কোনো সংগঠন, সংস্থা বা গোষ্ঠীর ক্ষেত্রে এই অপরাধের সাজা হবে সর্বনিম্ন ৫ বছর থেকে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাবাস।

এ ছাড়া নির্বাচনের সময় ব্যালট পেপার ধ্বংস, ভোটার-প্রার্থী-নির্বাচন কর্মীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা-ভাংচুর চালানো হলে অভিযুক্ত ব্যক্তি/গোষ্ঠীকে সর্বোচ্চ ২০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। নির্বাচন বানচালের উদ্দেশ্যে সহিংসতা কিংবা হত্যার ঘটনা ঘটলে অভিযুক্তকে সর্বোচ্চ সাজা হিসেবে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হবে বলেও বলা হয়েছে আইনটিতে।

দেশটিতে ২০২০ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন এনএলডি সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী।

অভ্যুত্থানের পরপরই গ্রেপ্তার হন সু চি, তার নেতৃত্বাধীন সরকারের মন্ত্রী-এমপি এবং এনএলডির বিভিন্ন স্তরের হাজার হাজার নেতাকর্মী। তাদের বেশির ভাগ এখনো কারাগারে আছেন। দেশটির তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইং অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।