ফিলিপাইনে আছড়ে পড়েছে সুপার টাইফুন ‘রাগাসা’। সোমবার স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় ‘রাগাসা’ উত্তর কাগায়ান প্রদেশের বাবুয়ান দ্বীপপুঞ্জের পানুইতান দ্বীপে আঘাত হানে। ঘণ্টায় ২৮৫ কিলোমিটার বেগে (১৭৭ মাইল) বয়ে যাওয়া এই ঘূর্ণিঝড় বর্তমানে পশ্চিম দিকে চীনের দক্ষিণাঞ্চলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তর জানায়, আছড়ে পড়ার পর সামান্য দুর্বল হলেও ‘রাগাসা’ এখনো ৩ মিটারের (১০ ফুট) বেশি উচ্চতার প্রাণঘাতী জলোচ্ছ্বাসের ঝুঁকি তৈরি করছে। কর্তৃপক্ষ ঘরবাড়ি ও অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, বন্যা এবং ভূমিধসের আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করেছে। এ ছাড়া রাজধানী ম্যানিলাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্কুল ও সরকারি অফিস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘রাগাসা’র কবলে পড়া বাবুয়ান ও বাতানেস দ্বীপপুঞ্জে প্রায় ২০ হাজার মানুষ বসবাস করে, যাদের অধিকাংশই দারিদ্র্যসীমার নিচে।
কালায়ান দ্বীপের তথ্য কর্মকর্তা হারবার্ট সিঙ্গুন বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, প্রবল ঝড়ে একটি বিদ্যালয়ের ছাদ উপড়ে প্রায় ৩০ মিটার দূরের একটি আশ্রয়কেন্দ্রের ওপর পড়ে যায়। এতে একজন সামান্য আহত হন।
‘রাগাসা’র প্রভাবে তাইওয়ানের পূর্বাঞ্চলের হুয়ালিয়েন কাউন্টি থেকে প্রায় ৩০০ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। যদিও ঘূর্ণিঝড়টি সরাসরি তাইওয়ানে আঘাত হানবে না; তবে ভারি বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এরই মধ্যে দক্ষিণ ও পূর্ব তাইওয়ানের বনাঞ্চল এবং ট্রেইলগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ও কিছু ফেরি পরিষেবা স্থগিত রাখা হয়েছে।
চীনের আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ গুয়াংডং প্রদেশে ‘বিপর্যয়কর’ ও ‘বড় পরিসরের দুর্যোগের’ আশঙ্কায় জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে। মঙ্গলবার থেকেই ভারি বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাস শুরু হতে পারে।
এর মধ্যেই শেনজেন শহরের কর্তৃপক্ষ প্রায় ৪ লাখ মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। শহরের বাও’আন জেলায় এক সুপারমার্কেট কর্মী জানান, দুপুরের মধ্যেই সব রুটি বিক্রি হয়ে গেছে—‘সাধারণত এমনটা হয় না।’
হংকং প্রশাসন জানিয়েছে, মঙ্গলবার থেকে আবহাওয়ার দ্রুত অবনতি ঘটবে। স্কুল খোলা রাখা হবে কি না তা নিয়ে আলোচনা করছে শিক্ষা ব্যুরো। ইতোমধ্যেই ক্যাথে প্যাসিফিক ৫০০টি ফ্লাইট বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে এবং হংকং এয়ারলাইন্সও সব ফ্লাইট স্থগিত করেছে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন