নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছেন নেপালের জেন-জি নেতা সুদান গুরুং। দেশটিতে আগামী বছরের মার্চে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি। সম্প্রতি জেন জি বিক্ষোভে কেপি শর্মা ওলি শর্মা সরকারের পদত্যাগের পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন সাবেক বিচারপতি কার্কি। সেই বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিয়েছেন দেশটির জেন-জি নেতা সুদান গুরুং।
সম্প্রতি সান্দ্রা গাথম্যানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করার কথা নিশ্চিত করেন সুদান গুরুং। এ নিয়ে দেশব্যাপী তরুণদের নিয়ে কাজ করছেন তিনি। দুর্নীতি ও ব্যক্তিস্বার্থে জর্জরিত নেপালে পরিবর্তন না আসা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আশা পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
কে এই সুদান গুরুং?
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ এইটটিনের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিবাদের সামনের সারিতে ছিলেন সুদান গুরুং। তিনি যুবকেন্দ্রিক এনজিও হামি নেপালের সভাপতি। যে এনজিওটি ধীরে ধীরে একটি নাগরিক আন্দোলনে পরিণত হয়।
ফ্রি প্রেস জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়, হামি নেপালের সভাপতি সুদাং গুরুং তৃণমূলের নেতা। একসময় পার্টি আর নাইটলাইফ ইভেন্ট আয়োজনের জন্য পরিচিত গুরুংয়ের যুবনেতা হয়ে ওঠাটা ছিল অপ্রত্যাশিত, কিন্তু সচেতন সিদ্ধান্ত। তিনি ২০১৫ সালের ভূমিকম্পের পর যুবক-নেতৃত্বাধীন এই এনজিও প্রতিষ্ঠান করেন। ওই ভূমিকম্পে তার সন্তানের মৃত্যু হয়। যে ঘটনা তার জীবনের পথ বদলে দেয়।
এক সময়ের ইভেন্ট অর্গানাইজার সুদান গুরুং পরে দুর্যোগ, ত্রাণ ও নাগরিক কাজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। প্রাতিষ্ঠানিক অস্বচ্ছতার বিরুদ্ধেও গুরুংয়ের প্রতিবাদের আগের ইতিহাস আছে।
তিনি এর আগে ‘ঘোপা ক্যাম্প’ আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। যেখানে বিপি কৈরালা ইনস্টিটিউট অব হেলথ সায়েন্সেসে স্বচ্ছতার দাবি তোলা হয়। তার সংগঠন ‘ধারনের’ মেয়র হার্কা সাম্পাংয়ের সঙ্গে আগের কয়েকটি প্রচারেও কাজ করেছে। ইসরায়েলে আটকে পড়া নেপালি নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টায় সমন্বয় করেছে।
সুদান বর্তমানে সবচেয়ে আলোচিত জেন-জি প্রজন্মের কাছে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। হয়ে ওঠেন জেন-জি প্রজন্মের কণ্ঠস্বর।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন