ঢাকা সোমবার, ০৬ অক্টোবর, ২০২৫

ইন্দোনেশিয়ায় খনি ধসে নিখোঁজ সব শ্রমিকের মৃত্যু নিশ্চিত করল কর্তৃপক্ষ

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২৫, ১২:১৫ পিএম
খনি ধসে উদ্ধার কার্যক্রম। ছবি- সংগৃহীত

ইন্দোনেশিয়ায় খনি ধসে সেখানে থাকা সব শ্রমিক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে খননকারী প্রতিষ্ঠান ফ্রিপোর্ট। রোববার (৫ অক্টোবর) এই তথ্য জানিয়েছে তারা। সেন্ট্রাল পাপুয়ার মিমিকায় ফ্রিপোর্ট ইন্দোনেশিয়া পরিচালিত ‘গ্রাসবার্গ ব্লক কেভ’ খনিতে (তামা ও সোনা) বড় ধরনের ভূমিধসের প্রায় এক মাস পর এই খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। এটি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ভূগর্ভস্থ তামা ও স্বর্ণ খনি।

গত ৮ সেপ্টেম্বর প্রায় ৮ লাখ টন কাদামাটি ও পাথর খনির ভেতরে প্রবাহিত হয়। বেশির ভাগ শ্রমিককে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া গেলেও সাতজন ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়েন। গত ২০ সেপ্টেম্বর প্রথম দুটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। সর্বশেষ গতকাল রোববার উদ্ধারকারী দল আরও তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলোর মধ্যে একজনের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে। তিনি চিলির নাগরিক ভিক্টর বাসতিদা বালেস্টেরোস। অন্য দুজনের পরিচয় এখনো নির্ধারণ করা হয়নি বলে কোম্পানিটি জানিয়েছে। সর্বশেষ উদ্ধার অভিযানের মাধ্যমে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ জনে। এখনো দুই শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন।


গ্রাসবার্গ খনির কার্যক্রম প্রায় এক মাস ধরে বন্ধ রয়েছে এবং ফ্রিপোর্ট-ম্যাকমোরান সতর্ক করেছে, তাদের একীভূত তামা ও সোনার বিক্রয় কমে যেতে পারে। ফ্রিপোর্ট আরও জানিয়েছে, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের করা হচ্ছে। এ ছাড়া ঘটনাটি মূল্যায়ন ও ভবিষ্যৎ কার্যক্রমের পরিকল্পনা নির্ধারণে ইন্দোনেশিয়ার সরকারি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় করা হচ্ছে।

ফ্রিপোর্ট ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট ডিরেক্টর টনি ওয়েনাস এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমার এবং কোম্পানির পক্ষ থেকে আমি নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানাচ্ছি। এই কঠিন সময়ে সৃষ্টিকর্তা আমাদের সবাইকে ধৈর্য ও শক্তি দান করুন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই ট্র্যাজেডি আমাদের কর্মীদের গভীরভাবে আঘাত করেছে। তারা শুধু সহকর্মী ছিলেন না, তারা আমাদের ফ্রিপোর্ট পরিবারের অংশ ছিলেন। তাদের মৃত্যু পুরো সংগঠনের জন্য একটি অপূরণীয় ক্ষতি।’

কোম্পানিটি জানিয়েছে, নিহতদের পরিবারের পাশে তারা দাঁড়িয়েছে। মৃতদেহ শনাক্তকরণ ও উদ্ধার-পরবর্তী প্রক্রিয়ায় পূর্ণ সহায়তা ও পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।

এই দুর্ঘটনার ফলে, খনিজ সম্পদসমৃদ্ধ এই এলাকার খনির নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। ভূমিধসের পরপরই ফ্রিপোর্ট ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সব খনন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে এবং জানিয়েছে, ২০২৭ সালের আগে সেখানে কাজ আবার শুরু হবে না। কারণ কাজ শুরুর আগে নিরাপত্তা পর্যালোচনা ও কাঠামোগত সংস্কার চলবে।