ঢাকা সোমবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৫

উত্তর-দক্ষিণ কোরিয়ার মাঝে যেকোন সময় সংঘর্ষের আশঙ্কা

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৪, ২০২৫, ০৬:২৮ পিএম
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ং। ছবি- সংগৃহীত

চিরবৈরী দুই প্রতিবেশী উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মাঝে ভয়াবহ উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অত্যন্ত বিপজ্জনক এই পরিস্থিতিতে যেকোনও সময় উভয় দেশের মাঝে সংঘর্ষ শুরু হতে পারে। এই সংকটের অবসানে পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে সংলাপে বসা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে বলে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ং মন্তব্য করেছেন। 

সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া ‌‘অত্যন্ত বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে’ রয়েছে; যেখানে যেকোনও সময় সংঘর্ষের সূত্রপাত হতে পারে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেছেন, সিউলের যোগাযোগের আহ্বানে সাড়া দিচ্ছে না উত্তর কোরিয়া। একই সঙ্গে সামরিক সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিচ্ছে পিয়ংইয়ং। ১৯৫০-৫৩ সালের কোরীয় যুদ্ধের পর আর কখনোই সীমান্তে এমন পরিস্থিতি দেখা যায়নি।

লির বরাত দিয়ে ইয়োনহাপের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘‘আন্তঃকোরীয় সম্পর্ক এখন অত্যন্ত শত্রুতাপূর্ণ ও মুখোমুখি অবস্থায় রয়েছে। ন্যূনতম আস্থার অভাবে উত্তর কোরিয়া কিছুক্ষেত্রে অত্যন্ত বৈরী আচরণ প্রদর্শন করছে।’

দক্ষিণ আফ্রিকায় জি-২০ সম্মেলনে অংশ নেওয়ার পর সেখান থেকে তুরস্কের উদ্দেশে যাত্রা করা বিমানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানিয়েছেন লি। তিনি বলেছেন, গত ১৭ নভেম্বর উত্তর কোরিয়াকে সামরিক আলোচনা শুরুর বিষয়ে প্রস্তাব দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। সীমান্তে সশস্ত্র সংঘর্ষ ঠেকাতে সামরিক বিভাজন রেখা (এমডিএল) বরাবর স্পষ্ট সীমা নির্ধারণের বিষয়ে আলোচনার জন্য ওই প্রস্তাব দেওয়া হয়। কারণ এই ধরনের সংঘর্ষ মুহূর্তের মধ্যে বড় যুদ্ধে রূপ নিতে পারে।

উত্তর কোরিয়া এ প্রস্তাবে কোন সাড়া কিংবা প্রতিক্রিয়া জানায় নি। চলতি বছর উত্তর কোরিয়ার সৈন্যরা অন্তত ১০ বারের বেশি সীমান্ত অতিক্রমের ঘটনা ঘটিয়েছে। এসব ঘটনায় কিছু ক্ষেত্রে নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী দক্ষিণ কোরিয়ার সৈন্যরা সতর্কতামূলক গুলি চালিয়েছেন।

লি বলেন, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে শান্তি অর্জন করাটা দীর্ঘমেয়াদী প্রচেষ্টা হবে। তবে যখন দৃঢ় শান্তি কাঠামো গড়ে উঠবে, তখন দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়া বন্ধ করা ভালো হবে।

মিত্র দু’দেশের এ ধরনের মহড়ার ঘটনায় বার বার নিন্দা জানিয়ে পিয়ংইয়ং বলেছে, এটি উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে পারমাণবিক যুদ্ধের মহড়া। বর্তমানে প্রায় সাড়ে ২৮ হাজার মার্কিন সৈন্য ও অস্ত্র ব্যবস্থা দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থান করছে।