থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্তে নতুন করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাতের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ছয় জনে দাঁড়িয়েছে। একটি সরকারি ফেসবুক পোস্টে জানানো হয়, থাই সেনাবাহিনী মধ্যরাতের পর বান্তে মিঞ্চে প্রদেশে গুলি চালায়। এতে ৫৬ নম্বর জাতীয় সড়কে চলাচলকারী দুই কম্বোডিয়ান বেসামরিক নাগরিক নিহত হন।
এর আগে গতকাল সোমবার থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষে আরও চারজন বেসামরিকের মৃত্যু হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় জানায়। অন্যদিকে, থাইল্যান্ড নিশ্চিত করেছে, সংঘর্ষে তাদের একজন সেনা নিহত এবং কয়েকজন আহত হয়েছে।
থাই কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, সোমবার ভোরে বুরিরাম প্রদেশের বেসামরিক এলাকায় কম্বোডিয়ান বাহিনী বিএম-২১ রকেট নিক্ষেপ করার পর পাল্টা বিমান হামলা চালানো হয়।
এদিকে এই ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে দুই দেশকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এক বিবৃতিতে উভয় পক্ষকে ‘আরও উত্তেজনা বৃদ্ধি এড়াতে’ এবং চলতি বছরের শুরুতে মধ্যস্থতায় গৃহীত যুদ্ধবিরতিতে ফিরতে অনুরোধ করেছেন।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমও কূটনীতি ও সংযমের আহ্বান জানান।
তবে ব্যাংককে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে থাই প্রধানমন্ত্রী আনুতিন চার্নভিরাকুল বলেন, ‘আমরা সে সীমা পেরিয়ে গেছি। যদি কেউ কিছু থামাতে চান, তাহলে আক্রমণকারীকে থামাতে বলুন।’
থাইল্যান্ডের দ্বিতীয় সেনা অঞ্চলের তথ্য অনুযায়ী, সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এই বছরের গ্রীষ্মের তীব্র সংঘাতের পর আবারও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। তখন পাঁচ দিনের লড়াইয়ে ৪৩ জন নিহত হয়েছিল এবং যুদ্ধবিরতির আগে প্রায় তিন লাখ মানুষ ঘরছাড়া হয়েছিল।
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থিত এক ফলোআপ চুক্তির পর সংঘর্ষে বিরতি এলেও, থাইল্যান্ডে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে সৈন্য আহত হওয়ার ঘটনায় যুদ্ধবিরতি আবার ভেঙে যায়।

