কম্বোডিয়ার সঙ্গে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘাতের এক সপ্তাহের মধ্যে থাইল্যান্ডের পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) একটি রাজকীয় আদেশে তিনি এই ঘোষণা দেন। ডিক্রিতে আগামী পঁয়তাল্লিশ থেকে ষাট দিনের মধ্যে নতুন সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয় ।
আনুতিন বলেন, সংসদ ভেঙে দেওয়াই জনগণের কাছে রাজনৈতিক ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার উপযুক্ত উপায়। তিনি উল্লেখ করেন, মাত্র তিন মাস আগে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তার সংখ্যালঘু সরকার নানা সংকট সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছিল, যার মধ্যে রয়েছে কম্বোডিয়ার সঙ্গে সীমান্ত সংঘাত অন্যতম।
গত সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন থাই ব্যবসায়ী অনুতিন। সে সময় ২০২৬ সালের জানুয়ারির মধ্যে সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নতুন নির্বাচনের ঘোষণা দেন তিনি। ফলে থাইল্যান্ডে এগিয়ে আসল অনাস্থা ভোটের সময়।
আনুতিন লিখেছেন, সংখ্যালঘু সরকারের রাজনৈতিক অস্থিরতা দেশকে স্থিতিশীলভাবে পরিচালনার পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে তরুণপ্রধান প্রগতিশীল পিপলস পার্টির সমর্থন হারানোর পর এই সমস্যা আরও তীব্র হয়ে দাঁড়ায়। পিপলস পার্টি শুক্রবার অনাস্থা প্রস্তাব আনার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এর আগের দিন তারা প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে বলে, 'জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা দেখাতে হলে সংসদ ভেঙে দিন।' এছাড়াও দলটি সামাজিকমাধ্যমে লিখেছে, 'ভোটকেন্দ্রে দেখা হবে।'
গত এক বছরে থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক অস্থিরতা নতুন মাত্রা পেয়েছে। ধারাবাহিকভাবে দুই প্রধানমন্ত্রীকে আদালত বরখাস্ত করেছে। আনুতিনের পূর্বসূরি পায়েতংতার্ন সিনাওয়াত্রা ফাঁস হওয়া একটি ফোনকলের জেরে নৈতিকতা লঙ্ঘনের অভিযোগে পদচ্যুত হন।
তার আগের প্রধানমন্ত্রী শ্রেত্থা থাভিসিনকে মন্ত্রিসভায় এক দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক আইনজীবীকে অন্তর্ভুক্ত করায় পদ হারাতে হয়। এর মাঝেই চলমান সীমান্ত সংঘাত দেশটির রাজনৈতিক কাঠামো নড়বড়ে করে তুলেছে।



সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন