সিগারেট-চুরুট খাওয়া এবং বিক্রির ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা থাকছে না। তবে ধূমপায়ীদের ওপর কিছু বিধিনিষেধ বলবৎ করেছে ফ্রান্সের সরকার।
শনিবার (১ জুলাই) থেকে তা কার্যকর হবে বলে সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
ফ্রান্সের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ-বিষয়ক মন্ত্রী ক্যাথরিন ভাউট্রিন শুক্রবার জানিয়েছেন, তার দেশের সমস্ত সমুদ্র সৈকত, পার্ক ও উন্মুক্ত উদ্যান, স্কুলের বাইরের এলাকা, বাসস্টপ এবং স্টেডিয়াম চত্বর কঠোরভাবে ‘ধূমপান নিষেধ’ এলাকায় পরিণত করা হয়েছে।
বর্তমানে ওই এলাকাগুলোতে ধূমপায়ীদের জন্য নির্দিষ্ট অঞ্চল থাকলেও তা তুলে দেওয়া হবে। নিয়ম ভাঙলে ১৩৫ ইউরো (১৫ হাজার টাকার বেশি) জরিমানা গুনতে হবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে।
-20250526124528.webp)
ফ্রান্সে প্রতি বছর তামাকজনিত রোগে ৭৫ হাজারের বেশি ধূমপায়ী মারা যান, দেশটিতে যা মোট মৃত্যুর ১৩ শতাংশ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ফ্রান্সের জনসংখ্যার আনুমানিক ৩৫ শতাংশ ধূমপায়ী, যা ইউরোপের ২৫ শতাংশ এবং বিশ্বের ২১ শতাংশের বেশি।
সাম্প্রতিক এক মতামত জরিপ অনুসারে, ১০ জনের মধ্যে ছয়জন ফরাসি মানুষ (৬২ শতাংশ) জনসম্মুখে ধূমপান নিষিদ্ধ করার পক্ষে।
ফ্রান্সের রেস্তোরাঁ ও নাইটক্লাবে ধূমপানে ২০০৮ সালে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছিল। কিন্তু বার ও ক্যাফেতে ধূমপানের অনুমতি রয়েছে।
মন্ত্রী ক্যাথেরিন বলেন, ১ জুলাই থেকে কার্যকর হওয়া নতুন নিষেধাজ্ঞায় ‘সৈকত, পার্ক, পাবলিক বাগান, স্কুলের বাইরে, বাসস্টপ এবং ক্রীড়া স্থান-সহ সমস্ত স্থান অন্তর্ভুক্ত থাকবে, যেখানে শিশুরা উপস্থিত থাকতে পারে।
ভৌট্রিন তার ওয়েবসাইটে আঞ্চলিক ওয়েস্ট-ফ্রান্স দৈনিক দ্বারা প্রকাশিত একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘যেখানে শিশু আছে সেখানে তামাক অবশ্যই দূর হবে’। শিক্ষার্থীদের সামনে ধূমপান বন্ধ করার জন্য এই নিষেধাজ্ঞা স্কুলগুলোতেও প্রসারিত হবে।
