ফ্রান্সের বিভিন্ন শহরের মেয়ররা সরকারিভাবে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে টাউন হল ভবনে ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন করেছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, সোমবার সকাল পর্যন্ত কমপক্ষে ২১টি টাউন হলে ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। যদিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রেতাইয়ো পৌর কর্তৃপক্ষকে ‘নিরপেক্ষতা’ বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ফরাসি সোশ্যালিস্ট পার্টির নেতা অলিভিয়ার ফোর মেয়রদের এই পদক্ষেপকে সমর্থন জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘মন্ত্রীর বরং মেয়রদের নিন্দা করার চেয়ে গাজায় যা ঘটছে তার নিন্দা করা উচিত।’
প্যারিসের উপশহর মালাকফের কমিউনিস্ট মেয়র জ্যাকলিন বেলহোম পুলিশি নির্দেশ উপেক্ষা করে ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন করেন। তিনি বলেন, ‘এটি প্রতীকীভাবে গুরুত্বপূর্ণ—যেমন আগে আমরা রাশিয়ার হামলার সময় ইউক্রেনীয় জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইউক্রেনের পতাকা উত্তোলন করেছিলাম।’
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে ফ্রান্স স্বীকৃতি দেওয়ায় স্বাগত জানিয়ে নঁতের মেয়র জোহানা রোলাঁদ টাউন হলে পতাকা উত্তোলনের ঘোষণা দেন। প্যারিসের আরেক উপশহর সাঁ-তুয়েঁর মেয়র করিম বোয়ামরান বলেন, ‘আমরা বহু বছর ধরে এই দিনের জন্য অপেক্ষা করেছি।’
এর আগে ফ্রান্স জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দেয়। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জঁ-নোয়েল বারো এই স্বীকৃতিকে ‘হামাসের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট প্রত্যাখ্যান’ এবং ‘ফ্রান্সের জন্য একটি বড় কূটনৈতিক বিজয়’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
তবে বিরোধী ডানপন্থি ন্যাশনাল র্যালি পার্টির নেতা মারিন লো পেন সিদ্ধান্তটিকে ‘ভয়ংকর ভুল’ বলে অভিহিত করেছেন। অন্যদিকে, লো পেনকে গণহত্যার সমর্থক বলে সমালোচনা করেছেন বামপন্থি ফ্রান্স আনবাউড পার্টির নেতা ম্যাথিল্ড পানো।