জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের প্রান্তে অনুষ্ঠিত দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান সম্মেলনে বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী বের্ত দি ওয়েভার ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, জিম্মিদের মুক্তি এবং গাজায় হামাসের ক্ষমতা অপসারণের পরই বেলজিয়াম এই স্বীকৃতি দেবে। সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইসরায়েল এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
ওয়েভার তার ভাষণে বলেন, ‘ইসরায়েলের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, এমনকি প্রধানমন্ত্রী নিজেও সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন যে, কোনোদিন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের অস্তিত্ব থাকবে না। এ ধরনের বক্তব্য আরও একবার প্রমাণ করে যে, ফিলিস্তিনিদের নিজেদের রাষ্ট্র পাওয়া জরুরি এবং ন্যায্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘অতএব, আজ বেলজিয়াম বিশ্বকে একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক বার্তা দিচ্ছে—আমরা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া দেশগুলোর দলে যোগ দিচ্ছি।’
তবে দে ওয়েভার স্পষ্ট করেন, ‘এই পদক্ষেপ কোনোভাবেই হামাসের জন্য পুরস্কার নয়। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের সন্ত্রাসী হামলার পর ভুক্তভোগীরা যে ট্রমার মধ্যে আছেন, তা মাথায় রেখেই বেলজিয়াম বলছে—সব জিম্মিকে মুক্তি এবং হামাসসহ সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে ক্ষমতা থেকে সরানোর পরই ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হবে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ কূটনৈতিক সম্পর্ক, বেলজিয়াম দূতাবাস খোলা এবং আন্তর্জাতিক চুক্তি স্বাক্ষরের প্রক্রিয়া শুরু হবে তখনই, যখন ঘোষণার লক্ষ্যগুলো অর্জিত হবে। এর মধ্যে রয়েছে হামাসের পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণ এবং ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট ও সংসদীয় নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ও নতুন নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা।’
সম্প্রতি কিছু দেশ সরাসরি ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিলেও বেলজিয়ামের অবস্থান তুলনামূলকভাবে আলাদা। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সোমবার জানিয়েছেন, প্যারিস ফিলিস্তিনে দূতাবাস খুলবে কেবল তখনই, যখন জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে এবং গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।