ভবিষ্যতে ভারতের মাটিতে যেকোনো ধরনের সন্ত্রাসী হামলাকে দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা হিসেবে গণ্য করা হবে। সঙ্গে সঙ্গে পাল্টা আঘাত হানার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারের ঊর্ধ্বতন সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এএনআই।
শনিবার (১০ মে) সকাল থেকে রাজধানী নয়াদিল্লিতে সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং আলাদা করে কথা বলেছেন সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে।
ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যে এই বৈঠককে ভারতের পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে ভারতের মাটিতে যেকোনো ধরনের সন্ত্রাসী হামলাকে দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা হিসেবে গণ্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। একই সঙ্গে প্রতিক্রিয়া হিসেবে তৎক্ষণাৎ পাল্টা আঘাত হানা হবে।
এদিন দুপুরে প্রথমে চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ অনিল চৌহান দেখা করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে। সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে জানান তিনি।
এরপর খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তিন বাহিনীর প্রধান, সেনা সর্বাধিনায়ক অনিল চৌহান, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, রাজনাথ সিং অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তারা।
তবে এদিন সংবাদ সম্মেলনে ভারতীয় শসস্ত্র বাহিনীর পক্ষ থেকে উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং জানান, পাকিস্তান আরও অশান্তির ছক কষছে। নিয়ন্ত্রণরেখার দিকে এগোচ্ছে পাক সেনারা। তাদের জবাব দিতে তৈরি হয়েছে ভারতীয় বাহিনীও। অর্থাৎ দুদেশের মধ্যে যেকোনো পরিস্থিতিতে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে।
সম্ভবত সে কারণেই রণকৌশল তৈরি করা ও প্রস্তুতি খতিয়ে দেখার জন্য বৈঠক করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
আপনার মতামত লিখুন :