বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই অনুপ্রবেশকারী নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে ভারত সরকার। গত বছরের ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে সন্দেহজনক মানুষদের সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে দলে দলে ‘পুশইন’ করিয়েছে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। বারবার অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে কঠোর হওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেও তার বাস্তবায়ন দেখা হয়নি।
তবে এবার কঠোর হচ্ছে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরা। প্রথমবারের মতো অবৈধ অভিবাসীদের সনাক্ত ও দেশ থেকে তাড়িয়ে দিতে বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করেছে রাজ্য সরকার। শনিবার (১৯ জুলাই) সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে এনডিটিভি।
এতে বলা হয়, ত্রিপুরার সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের গ্রেপ্তারের হার সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশের সঙ্গে এই রাজ্যটির প্রায় ৮৫৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে।
অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ও চিহ্নিত করতে পশ্চিম ত্রিপুরার ১৫টি থানার কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি বিশেষ তদন্ত দল (এসআইটি) গঠন করা হয়েছে। এই দলের নেতৃত্বে থাকবেন জেলা গোয়েন্দা শাখার ডেপুটি পুলিশ সুপার দেবাশীষ সাহা।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা জানান, ‘রাজ্যে অনুপ্রবেশের সংখ্যা কিছুটা কমেছে ঠিকই, কিন্তু অনুপ্রবেশকারীদের সনাক্ত করতে এসআইটি গঠন করা হয়েছে।’
এদিকে রাজ্য বিজেপির প্রধান মিত্র দল টিপ্রা মোথা পার্টি (টিএমপি) শুরু থেকেই অবৈধ অভিবাসীদের সনাক্ত, আটক ও দেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ কঠোরভাবে কার্যকর করার দাবি জানিয়ে আসছে।
টিএমপি প্রধান প্রদ্যোত দেববর্মা এর আগেও সতর্ক করে বলেছিলেন, অবৈধ অনুপ্রবেশ আদিবাসী জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে উপজাতিদের সংস্কৃতি ও আর্থসামাজিক উন্নয়নের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :