ভারতের কেরালা রাজ্যের তিরুবনন্তপুরম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পাঁচ সপ্তাহ ধরে আটকে থাকার পর উড্ডয়ন করতে যাচ্ছে ব্রিটিশ রয়াল নেভির এফ-৩৫বি যুদ্ধবিমানটি। গত ১৪ জুন যুক্তরাজ্য থেকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার পথে যুদ্ধবিমানটি জ্বালানির মাত্রা কমে যাওয়া ও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে হাইড্রোলিক ত্রুটির সম্মুখীন হয়। পরে কেরালার তিরুবনন্তপুরমে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয় বিমানটি।
প্রয়োজনীয় মেরামতের পর আগামীকাল মঙ্গলবার যুদ্ধবিমানটিকে উড্ডয়নের জন্য চূড়ান্ত ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
ভারতের মাটিতে বিমানটির দীর্ঘ উপস্থিতি কৌতূহলের জন্ম দিয়েছিল এবং অনেকে প্রশ্ন তুলেছিল, এত আধুনিক বিমান কীভাবে এতদিন ধরে একটি ভিন্ন দেশে অবস্থান করতে পারে। এইচএমএস প্রিন্স অব ওয়েলসের বহরের সদস্য বিমানটি ফিরে যেতে না পারার পর রয়াল নেভির প্রকৌশলীরা এটি মেরামত করার জন্য পরিদর্শন করেন।
তবে তারা এটি মেরামত করতে পারেননি। দুই সপ্তাহ আগে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, তারা এফ-৩৫বি বিমানটি মূল্যায়ন ও মেরামতের জন্য ১৪ জন প্রকৌশলীর একটি দল তিরুবনন্তপুরম বিমানবন্দরে পাঠিয়েছে।
এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দলটি চলাচল ও মেরামত প্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় বিশেষ সরঞ্জাম নিয়ে গিয়েছিল। সেই সময়ের ভিডিওগুলোতে বিমানটিকে একটি হ্যাঙ্গারে টেনে নিয়ে যেতে দেখা গেছে।
জল্পনা ছিল, যদি তারা বিমানটি মেরামত করতে ব্যর্থ হন তাহলে এটি ভেঙে ফেলতে হবে ও সি-১৭ গ্লোবমাস্টার বিমানের মতো বড় কার্গো বিমানে করে এটি নিয়ে যেতে হবে। আটকে থাকা ১১০ মিলিয়ন ডলারের যুদ্ধবিমানটির বিষয় হাউস অব কমন্সেও উত্থাপিত হয়েছিল।
দুই সপ্তাহ ধরে ভারতে অবস্থিত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশন ও প্রতিরক্ষা কর্তৃপক্ষ মেরামতের বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। বিমানবন্দরের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘বিমানটিকে হ্যাঙ্গার থেকে বের করা হয়েছেে এবং এটি মঙ্গলবার উড্ডয়ন করবে। তবে আমাদের কাছে প্রযুক্তিগত কোনো তথ্য নেই।’
লকহিড মার্টিন নির্মিত এফ-৩৫বি হলো অত্যন্ত উন্নত রাডারকে ফাঁকি দিতে সক্ষম যুদ্ধবিমান। ছোট রানওয়ে থেকে উড্ডয়ন ও উল্লম্ব অবতরণের সক্ষমতার জন্য বিমানটিকে বিশেষভাবে মূল্যায়ণ করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :