ঢাকা মঙ্গলবার, ২২ জুলাই, ২০২৫

মায়ের অপমানের বদলা নিতে ১০ বছর পর হত্যা

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২২, ২০২৫, ০২:১৯ পিএম
ভারতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ার ছবিতে একজনকে শনাক্তের পর পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ছবি- সংগৃহীত

১০ বছর আগে মারধর ও অপমান করা হয়েছিল এক মা’কে। এরপর থেকেই শুরু হয় তার সন্তান সোনুর নীরব ও দীর্ঘ প্রতিশোধযাত্রা। এমনই বলিউড ঘরানার কাহিনির বাস্তব রূপ হয়ে দাঁড়াল সোনু কাশ্যপের গল্প। এক দশক ধরে ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের লক্ষ্মৌ-এ অলিগলিতে ঘুরে বেড়িয়েছেন কেবল ‘মনোজ’ নামের ব্যক্তিকে খুঁজে বের করে হত্যার জন্য। আর এই হত্যাকাণ্ডে যোগ দেন তার বন্ধুরাও। সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয় এই ঘটনাটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় ১০ বছর আগে মনোজ নামের নারিকেল বিক্রেতা কোনো এক তর্কের জেরে সোনুর মাকে মারধর করেন এবং এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। সেই ঘটনার পর থেকেই সোনু প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেন এবং ধীরে ধীরে তার খোঁজে শহর চষে বেড়াতে থাকেন।

এরমধ্যেই প্রায় তিন মাস আগে, লক্ষ্মৌয়ের মুনশি পুলিয়া এলাকায় মনোজকে দেখতে পান সোনু। তখন থেকেই শুরু হয় পরিকল্পনা—কীভাবে হত্যা করা যায়। তবে একা এই কাজ করা সম্ভব নয় বুঝতে পেরে সোনু তার চার বন্ধুকে হত্যাকাণ্ডে যুক্ত করেন, প্রতিশ্রুতি দেন খুনের পর এক ধুমধাম পার্টি হবে। বন্ধুরাও এতে রাজি হয়ে যায়।

গত ২২ মে মনোজ তার দোকান বন্ধ করে একাই বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সুযোগে তাকে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে আহত অবস্থায় ফেলে যায় সোনুসহ পাঁচজনের দল। পরে হাসপাতালেই মনোজের মৃত্যু হয়।

হত্যাকাণ্ডের পর সোনু ও তার বন্ধুরা একটি মদ পার্টির আয়োজন করেন। সেই পার্টিরই কিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। আর সেখান থেকেই পুলিশের সন্দেহের সূত্রপাত।

পুলিশ জানিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজে কমলা রঙের টি-শার্ট পরা এক ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছিল, যিনি পার্টির ছবিতেও একই রঙের টি-শার্ট পরেছিলেন। সেই সূত্রে পুলিশ সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল ঘেঁটে পাঁচজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার পাঁচজন হলেন—সোনু কাশ্যপ, রণজিৎ, আদিল, সালামু ও রহমত আলি।

এদিকে, প্রথমে পুলিশ বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশাতেই ছিল। শুধু সিসিটিভি ফুটেজে কয়েকজনের আবছা অবয়ব ধরা পড়েছিল। এরপর সোশ্যাল মিডিয়ার সেই পোস্টই হয়ে ওঠে প্রধান সূত্র।