ভারতের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার এক স্কুলশিক্ষক ও তার ছাত্ররা অ্যালুমিনিয়াম পাত, তামার তার আর একটি বাঁশের খুঁটি দিয়ে বজ্রপাত নিরোধক যন্ত্র বানিয়েছেন। যা স্কুলপর্যায়ের স্থানীয় ও জাতীয় বিজ্ঞান মেলায় কয়েকবার প্রদর্শনীর পর ব্যাঙ্গালোরের কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ গবেষণা কেন্দ্র থেকে পরীক্ষা করিয়ে এনেছেন তারা।
মূলত বজ্রপাত নিরোধক যন্ত্র হলো একটি বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার, যার মাধ্যমে অতি উচ্চমাত্রায় ধেয়ে আসা বিদ্যুৎ ভূমিগত করে দেওয়া হয়। এটাকে ইংরেজিতে বলে লাইটনিং অ্যারেস্টার। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্নভাবে বজ্রপাত প্রতিরোধে লাইটনিং স্টার ব্যবহার করা হয়।
তবে বাজারে যেসব লাইটনিং অ্যারেস্টার (বজ্রপাত নিরোধক) পাওয়া যায়, সেগুলো থেকে যন্ত্রটি অনেকটাই ভিন্ন। যা একেবারে দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি এবং সস্তা বলে জানান যন্ত্রটির আবিষ্কারক দল নেতা শিক্ষক মি. পশুপতি মণ্ডল। ভারতের সেন্ট্রাল পাওয়ার রিসার্চ ইনস্টিটিউটও এই যন্ত্রটি পরীক্ষা করে কার্যকারিতার বিষয়ে সত্যায়িত করেছেন।
যন্ত্রটির আবিষ্কারক দলনেতা শিক্ষক মি. পশুপতি মণ্ডল সেন্ট্রাল পাওয়ার রিসার্চ ইনস্টিটিউটের স্মৃতিচারণ করে জানান, ‘আমিও ছিলাম সেদিন পরীক্ষাগারে। কয়েক মিলি-সেকেন্ডের মধ্যে দেখলাম লক্ষাধিক ভোল্টের বিদ্যুৎ প্রবাহ বয়ে গেল আমাদের তৈরি যন্ত্রটার মধ্য দিয়ে।’
বর্তমানে ওই বজ্রপাত নিরোধক যন্ত্রই তার চাষের জমিতে লাগিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের কৃষক পঞ্চানন মণ্ডল । তার দেখাদেখি গ্রামে মোট ১৬-১৭টি তড়িৎ-সঞ্চালক বসিয়েছেন অন্য কৃষকরা।
সম্প্রতি কর্নাটকের জমিতে কাজ করতে গিয়ে কৃষক পঞ্চানন মণ্ডল জানান, ‘এখানেও মাঝে মাঝে বৃষ্টি হচ্ছে, বাজ পড়ছে। যদি দেশে আমার জমিতে যে যন্ত্র আছে, সেটা যদি এই জমিতেও থাকত, নিশ্চিন্তে কাজ করতে পারতাম।’
আপনার মতামত লিখুন :