ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের ভিন্দ জেলায় স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের সময় এক অদ্ভুত ও হাস্যরসাত্মক ঘটনা ঘটেছে। গ্রামবাসী কমলেশ খুশবাহার লাড্ডু বিতরণ অনুষ্ঠানে মাত্র একটি লাড্ডু পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে সরাসরি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হেল্পলাইনে ফোন করেন। এই ঘটনা ভিন্দ গ্রামের সীমা অতিক্রম করে সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং সারাদেশে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে গ্রাম পঞ্চায়েত ভবনে স্বাধীনতা দিবসের পতাকা উত্তোলনের পর। অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সবাইকে লাড্ডু বিতরণ করা হচ্ছিল। কমলেশ আরও একটি লাড্ডু চাইলেও তাকে দেওয়া হয়নি। ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি পঞ্চায়েত ভবনের বাইরে দাঁড়িয়ে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর হেল্পলাইনে অভিযোগ জানান।
তিনি বলেন, পতাকা উত্তোলনের পর পঞ্চায়েত সঠিকভাবে মিষ্টি বিতরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
পঞ্চায়েত সচিব রবীন্দ্র শ্রীবাস্তব এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ওই গ্রামবাসী বাইরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। পিয়ন তাকে একটি লাড্ডু দিয়েছিল, কিন্তু তিনি দুটি চেয়েছিলেন। না পেয়ে সরাসরি হেল্পলাইনে ফোন করেছেন।
ঘটনার পর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীকে শান্ত করার জন্য পঞ্চায়েত বাজার থেকে এক কেজি মিষ্টি কিনে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে এই ঘটনা শুধুই হাস্যরস নয়, এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিন্নধারার বিতর্কও তৈরি করেছে।
উল্লেখযোগ্য, এই ধরনের ঘটনা ভিন্দ জেলায় নতুন নয়। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে একই জেলার একজন গ্রামবাসী ত্রুটিপূর্ণ টিউবওয়েল নিয়ে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর হেল্পলাইনে অভিযোগ করেছিলেন। তখন সরকারি কর্মকর্তার কটূক্তিমূলক মন্তব্যের কারণে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছিল এবং পরে সেই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।
মধ্যপ্রদেশের এই ঘটনা ভারতের অন্যান্য এলাকায়ও আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। সাধারণ মানুষের সরাসরি হেল্পলাইনে ফোন করার এই ঘটনা দেখিয়েছে, কখনো কখনো ছোট ছোট বিষয়ও বড় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হতে পারে। সামাজিক এবং প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণ থেকে এই ধরনের পরিস্থিতি ভাবনার বিষয়।