ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে রংপুরে গুলিতে নিহত আবু সাঈদ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি বলে জানা গেছে। তার নাম মো. আরিফুজ্জামান।
রোববার (২৪ আগস্ট) ওই কর্মকর্তাকে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহাকুমা আদালতে তোলা হয় বলে ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানায়, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে নিয়মিত টহলের সময় সন্দেহজনকভাবে সীমান্ত অতিক্রম করতে দেখা যায় আরিফুজ্জামানকে। তখনই তাকে আটক করা হয়। পরে তার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া কাগজপত্রে তিনি বাংলাদেশ পুলিশের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলে নিশ্চিত হয় বিএসএফ।
আটক আরিফুজ্জামানের বাড়ি বাংলাদেশের নীলফামারী জেলায়। শেখ হাসিনা সরকারের সময় তিনি এসিপি রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের দায়িত্বে ছিলেন বলে পুলিশের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন জানিয়েছে।
জানা গেছে, গত ১৪ অক্টোবর থেকে তিনি বিনা অনুমতিতে তার কর্মস্থলে হাজির হননি। এ কারণে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছিল এবং সেই থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আগে আরিফুজ্জামান রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে তাকে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় বদলি করা হয়। সেখানে তিনি গত ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। পরের দিন থেকে অনুপস্থিত থাকায় তাকে বরখাস্ত করা হয়।
গত শনিবার সন্ধ্যায় তিনি কাকডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাকিমপুর সীমান্ত চৌকির কাছে যাওয়ার সময় বিএসএফ তাকে আটক করে। পরে ওই রাতে তাকে স্বরূপনগর থানার পুলিশের হাতে তুলেদেওয়া হয়।
স্বরূপনগর থানার পুলিশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে, শেখ হাসিনার সরকার পরিবর্তনের পর এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তিনি সীমান্তবর্তী জেলা সাতক্ষীরায় আত্মগোপনে ছিলেন। জীবন বাঁচাতে তিনি অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেন।
পরে স্বরূপনগর থানার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার দেখায় এবং রোববার বসিরহাট মহাকুমা আদালতে তোলা হয়।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন