ঢাকা সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

‘গো ব্যাক মোদি’ স্লোগানে উত্তাল মণিপুর বিশ্ববিদ্যালয়

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৫, ০২:২৭ পিএম
মোদির সফরের বিরোধিতা করে মণিপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। ছবি- সংগৃহীত

ভারতের মণিপুর রাজ্য সফরে গিয়েছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা না পেরোতেই বিক্ষোভে উত্তাল হয় মণিপুর। শিক্ষার্থী ও বিক্ষোভকারীরা মোদির সফরের বিরোধিতা করে ‘গো ব্যাক মোদি’ স্লোগানে মাতিয়ে রাখেন মণিপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই বছর আগে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে ২৫০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণহানির পর প্রথমবারের মতো শনিবার মণিপুরে যান মোদি। এরপরই বিক্ষোভ শুরু হলে ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করে পুলিশ। এতে অনেকেই আহত হন।

তিন দিনের এই সফরে মণিপুর ছাড়াও আসাম ও বিহারেও যাবেন মোদি। বিহার ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম জনবহুল রাজ্য (প্রায় ১৩ কোটি মানুষ) এবং আসন্ন অক্টোবর বা নভেম্বরের নির্বাচনের আগে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ক্ষেত্র। বিহারই ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় হিন্দিভাষী অঞ্চলের একমাত্র রাজ্য, যেখানে মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) কখনো এককভাবে ক্ষমতায় আসেনি।

বিহার ভারতের দরিদ্রতম রাজ্যও বটে। সফরকালে মোদি প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ প্রকল্প উদ্বোধনের কথা রয়েছে, যার মধ্যে কৃষি প্রকল্প, রেল যোগাযোগ, সড়ক সংস্কার ও নতুন বিমানবন্দর টার্মিনাল রয়েছে।

উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মণিপুরে ২০২৩ সালের মে মাস থেকে মেইতেই (প্রধানত হিন্দু) ও কুকি (প্রধানত খ্রিষ্টান) সম্প্রদায়ের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষে অন্তত ২৫০ জন নিহত এবং বহু মানুষ গৃহহীন হয়ে সরকারি ক্যাম্পে আশ্রয় নেন।

চুরাচাঁদপুর শহরে সমাবেশে মোদি বলেন, ‘মণিপুরের জীবনকে আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে ভারত সরকার সম্ভাব্য সবকিছু করছে। আমি আজ আপনাদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আমি আপনাদের সঙ্গে আছি, ভারত সরকার মণিপুরের মানুষের পাশে আছে।’ তিনি সব গোষ্ঠীকে শান্তির পথে আসার আহ্বান জানান। এর আগে ২০২২ সালে মণিপুর সফর করেছিলেন মোদি।

মণিপুরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির এন. বিরেন সিং সহিংসতা থামানোয় ব্যর্থতার অভিযোগে সমালোচনার মুখে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পদত্যাগ করেন। এরপর প্রায় ৩০ লাখ মানুষের এই রাজ্য সরাসরি নয়াদিল্লি থেকে পরিচালিত হচ্ছে।

ভূমি ও সরকারি চাকরির প্রতিযোগিতা ঘিরে মেইতেই এবং কুকিদের মধ্যে উত্তেজনা দীর্ঘদিনের। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বলছে, রাজনৈতিক নেতারা নিজেদের স্বার্থে এই বিভাজন উসকে দিচ্ছেন।