ভারতের উত্তরাখণ্ডে আবারও মেঘভাঙা বর্ষণে বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনায় অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন ১৬ জন। সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দেরাদুন–মুসৌরি প্রধান সড়কের বিভিন্ন অংশ বৃষ্টির পানিতে ভেসে গেছে, এ ছাড়া ভূমিধসেও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে প্রায় তিন হাজার পর্যটক আটকা পড়েছেন বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
আরও বলা হয়, সহস্ত্রধারা, মালদেবতা, প্রেমনগরসহ কয়েকটি এলাকা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। টনস (তামসা) নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় প্রেমনগরে আট শ্রমিকের মৃত্যু হয় এবং চারজন নিখোঁজ রয়েছেন।
সহস্ত্রধারার কার্লিগড় গ্রামে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ২৩টি বাড়ি ও বেশ কিছু রিসোর্ট ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে নিখোঁজ হয়েছেন ছয়জন। এ ছাড়া প্রায় ৪০০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। জারিপানিতে বাড়ি ধসে দুজন এবং রাজপুর সড়কে দুজন পানিতে ভেসে গিয়ে মারা যান। এ ছাড়া টনস নদীর পানি তাপকেশ্বর মহাদেব মন্দির পর্যন্ত ঢুকে গিয়ে এক ভক্তকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়।
এরইমধ্যে উদ্ধার অভিযানে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ), রাজ্য দুর্যোগ প্রতিরোধ বাহিনী, পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন যুক্ত হয়েছে। দেরাদুন জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ১৩টি সেতু, ১০টি কালভার্ট, দুটি বাড়ি এবং ২১টি রাস্তা গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আগামী চার দিনের জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করেছে। দেরাদুন, বাগেশ্বর, পিথোরাগড়, চম্পাওয়াত ও উদম সিং নগর জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি এবং বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সরেজমিন পরিদর্শন করে জানান, ‘সব নদীর পানি উপচে পড়ছে। ২৫ থেকে ৩০টি স্থানে রাস্তা ভেঙে গেছে, সরকারি ও বেসরকারি সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উদ্ধারকারী দল যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছে।’ এ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মুখ্যমন্ত্রীকে ফোনে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে, মুসৌরির হোটেল মালিক সমিতি আটকে পড়া পর্যটকদের জন্য বিনা খরচে থাকার ব্যবস্থা করেছে।



সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন