ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর, ২০২৫

ভারত সফরে যাচ্ছেন তালেবান মন্ত্রী!

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২, ২০২৫, ০৯:৩২ পিএম
আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি। ছবি- সংগৃহীত

আগামী সপ্তাহে আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি ভারত সফরে যেতে পারেন। ২০২১ সালের আগস্টে তালেবান ক্ষমতা নেওয়ার পর এটিই দুই পক্ষের মধ্যে প্রথম উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হতে পারে। বিষয়টি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে-এর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

তবে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও তিনি কীভাবে সফর করবেন—সে বিষয়ে প্রতিবেদনে কিছু বলা হয়নি।

মুত্তাকির এই সফর যদি সফল হয়, তবে তা একটি উল্লেখযোগ্য কূটনৈতিক অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হবে। যদিও ভারত এখন পর্যন্ত তালেবান সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি। তবুও তারা মানবিক সহায়তা এবং জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব দিয়ে সীমিত পরিসরে যোগাযোগ রেখেছে।

তবে, আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবাদ, নারী ও সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে তাদের উদ্বেগের কথা বরাবরই জানিয়ে এসেছে ভারত।

মুত্তাকির এই সফর বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। কারণ তিনি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞার অধীনে আছেন, যার মধ্যে রয়েছে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা। এই নিষেধাজ্ঞার কারণে বিদেশে ভ্রমণের জন্য তার বিশেষ ছাড়ের প্রয়োজন হয়। এর আগেও তার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা এই নিষেধাজ্ঞার কারণে ব্যাহত হয়েছে। 

সম্প্রতি আগস্টে তার পাকিস্তান সফরও বাতিল হয়েছিল। জানা যায় যে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা কমিটিতে আমেরিকা ছাড় মঞ্জুর করার পথে বাধা দেওয়ায় এটি ঘটেছিল।

২০২১ সালের ১৫ আগস্ট মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনী প্রত্যাহার এবং তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর আফগানিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হয়। যদিও তালেবান সরকার এখনো আন্তর্জাতিক মহলে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পায়নি, তবে ভারতসহ অনেক দেশ নিরাপত্তা ও মানবিক উদ্বেগ মোকাবিলায় যোগাযোগের চ্যানেল বজায় রেখেছে।

পূর্ববর্তী আফগান সরকারগুলোর সময়ে ভারত আফগানিস্তানের পুনর্গঠনে বিপুল পরিমাণে বিনিয়োগ করেছিল, যার মধ্যে ছিল অবকাঠামো, স্কুল এবং হাসপাতাল নির্মাণ। তালেবান ক্ষমতা দখলের পর ভারত তার কূটনীতিক ও নাগরিকদের সরিয়ে নেয়।

পরে, ২০২২ সালে মানবিক সহায়তা বিতরণ তদারকি এবং ন্যূনতম কূটনৈতিক উপস্থিতি বজায় রাখতে ভারত কাবুলে একটি ‘কূটনৈতিক মিশন’ আবার চালু করে।

মুত্তাকির এই সফর যদি অনুষ্ঠিত হয়, তবে ভারতের তালেবান সরকারের প্রতি নীতি কী রূপ নেয় সে বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।