ঢাকা শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি আরব নেতাদের

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২৯, ২০২৫, ০৬:৪৪ পিএম
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সোদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান (ডানে)। ছবি- মেহের নিউজ

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মধ্যপ্রাচ্য সফরে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় সম্ভাব্য হামলার তীব্র বিরোধিতা করেছেন সৌদি আরব, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের শীর্ষ নেতারা। এ সময় দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সমস্যার কূটনৈতিক সমাধানের ওপর জোর দেন তারা। 

জনপ্রিয় মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস-কে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত তিনটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান, আরব আমিরাত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ এবং কাতারি আমির শেখ তামিম আল-থানি তিনজনই ট্রাম্পকে সতর্ক করে বলেন, ইরানের উপর সামরিক আক্রমণ হলে তাদের দেশগুলো ইরানের প্রতিশোধের প্রধান লক্ষ্য হতে পারে। কারণ, তিনটি দেশেই মার্কিন সামরিক ঘাঁটি রয়েছে।

সূত্র জানায়, আল-থানি সরাসরি ট্রাম্পকে বলেন, ‘পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলোই হবে এ ধরনের যেকোনো সংঘাতের প্রথম শিকার।’

এ সময় সৌদি ও কাতার নেতারা ইরানে ইসরায়েলের সম্ভাব্য সামরিক হামলা নিয়ে বিশেষ উদ্বেগ প্রকাশ করেন। 

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তিন দেশের নেতারাই ট্রাম্পের পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে আলোচনার উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়েছেন।তবে সৌদি, কাতার এবং ইউএই কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেননি।

এরই মধ্যে ট্রাম্প নিজেই জানিয়েছেন যে, তিনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে টেলিফোনে আলাপে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা না চালাতে সতর্ক করেছেন।

এছাড়া, রোমে অনুষ্ঠিত ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম দফা পরোক্ষ আলোচনায় ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি ও ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ নেতৃত্ব দিয়েছেন। 

আলোচনার লক্ষ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে একটি নতুন চুক্তির পথে অগ্রসর হওয়া।

এদিকে, সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি সিএনএন-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘ইসরায়েল এককভাবে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংস করতে পারবে না। তারা ক্ষতি করতে পারলেও, তা হবে একটি বড় ধরনের বিপর্যয়ের সূচনা।’

অন্যদিকে, ইসরায়েলের হুমকির জবাবে কঠোর বার্তা দিয়েছে তেহরান। ইরানি সেনাবাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল আবদুর রহিম মুসাভি বলেন, ‘ইসরায়েল যদি আরেকটি ভুল করে, আমরা প্রস্তুত আছি ‘সত্য প্রতিশ্রুতি’র মতো কঠোর জবাব দিতে।’

উল্লেখ্য, গত বছর ইরান ‘সত্য প্রতিশ্রুতি-১ ও ২’ নামক দুটি প্রতিশোধমূলক সামরিক অভিযান চালায়। সে হামলায় শত শত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করে ইসরায়েলের সামরিক ও গোয়েন্দা স্থাপনায় নির্ভুল হামলা চালানো হয়।

সূত্র: মেহের নিউজ