ঢাকা সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫

ইরানকে সমর্থন জানিয়ে ইসরায়েলে হামলা চালাবে কি লেবানন?

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২৫, ০৯:০২ এএম
লেবানন সৈন্যদের যাত্রা । ছবি- সংগৃহীত

ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল যে যুদ্ধ শুরু করেছে তা লেবাননের জন্য বিপদশঙ্কা হতে পারে। যুদ্ধে হিজবুল্লাহর অন্তর্ভুক্তি নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। 

শনিবার (১৪ জুন) লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ অউন বলেন, ‘ইরানে যে হামলা হচ্ছে, তা শুধু ওদের ওপরই হচ্ছে না, এটা মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার ওপরও আঘাত।’

পার্লামেন্ট স্পিকার নাবিহ বেরিও এ হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন ও সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন হিসেবে নিন্দা করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েল স্বতন্ত্র দেশ ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য হুমকিতে পরিণত হচ্ছে।’

লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাওয়াফ সালাম ও অপর কর্মকর্তারাও বলেছেন, এ হামলা সমগ্র অঞ্চলে অস্থিরতা ও অরাজকতা সৃষ্টি করতে পারে।

এ কারণে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে লেবানন সরকার।

অপরদিকে ইরানের পাশে থাকার বার্তা ব্যক্ত করেছে হিজবুল্লাহ। ইসরায়েলের হামলা আন্তর্জাতিক আইনবিরোধী ও মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা বৃদ্ধি করছে বলে মনে করে হিজবুল্লাহ।

লেবানন সেনাবাহিনী ও হিজবুল্লাহ এখন কি করবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে যুদ্ধে সরাসরি অংশ নেওয়ার বিষয়ে এখনো স্পষ্ট কোনো বিৃবতি দেয়নি তারা।

চলতি সপ্তাহে মার্কিন বিশেষ দূত টম ব্যারাক লেবানন সফর করার কথা। হিজবুল্লাহ নিরস্ত্রীকরণে লেবাননের ওপর চাপ সৃষ্টি ও লেবানন-ইসরায়েল সমঝোতায় জোর করাই মার্কিন লক্ষ্য।

এদিকে ইসরায়েলকে দুর্বল হতে দেখার আশা ব্যক্ত করেছে লেবাননের দক্ষিণ ও বৈরুতের উপশহরগুলোর মানুষ।

ইরান যে ইসরায়েলের জাফা ও হাইফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, তা ওয়াশিংটন ও অপরাধীদের জন্য অপমানজনক বলছে তারা। অনেক সমর্থক সমবেত হয়ে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় ও আনন্দ প্রকাশ করেছে।

বিশেষ করে হিজবুল্লাহর মহাসচিব শহীদ হাসান নাসরাল্লাহর সমাধিতে অগণিত মানুষ সমবেত হয়ে দোয়া ও স্মরণ সভায় অংশ নেন।