কানাডায় চলমান বিশ্বের উন্নত সাত দেশের জোট জি-৭ ‘ইরান সন্ত্রাসের প্রধান উৎস’ উল্লেখ করে ইসরায়েলের পক্ষে বার্তা দিয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ জুন) এ বার্তা দেন জোটটির নেতারা।
অর্থনীতিতে শীর্ষ শক্তিধর এই জোটটির সদস্য রাষ্ট্রগুলো হলো- যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, কানাডা ও ইতালি। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাত পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে। যেকোনো সময় এই সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা বিশ্লেষকদের।
বিবৃতিতে জোটের নেতারা ‘ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে’ বলে মত দিয়েছেন এবং বলেছেন, আমরা ইসরায়েলের নিরাপত্তার প্রতি আমাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছি। সেইসঙ্গে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরান ‘আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা এবং সন্ত্রাসের প্রধান উৎস’।
বিবৃতিতে জি-৭ এর নেতারা আরও বলেছেন, আমরা ধারাবাহিকভাবে স্পষ্ট করে বলেছি যে, ইরানকে কখনোই পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের সুযোগ দেওয়া যাবে না। পাশাপাশি ইরানি সংকট সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন নেতারা।
বিবিসির লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার (১৬ জুন) ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ভবনে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে কিছুক্ষণের জন্য টেলিভিশনটির সম্প্রচার কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেলেও পরে সেটি পুনরায় চালু হয়। হামলায় কর্মীদের ২ জন নিহত ও অনেকে আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইরনা নিউজ কর্তৃপক্ষ।
গত শুক্রবার ভোরে ইরানে অতর্কিত হামলার মধ্য দিয়ে শুরু হয় ইরান-ইসরায়েল পাল্টাপাল্টি হামলা। এ পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় ইরানে দুই শতাধিকেরও বেশি নিহত হয়েছে যার মধ্যে দেশটির শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা, কমান্ডার ও অন্তত ১১ জন পরমাণুবিজ্ঞানী রয়েছেন। অন্যদিকে ইরানি হামলায় ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা ২০ ছাড়িয়েছে।
এদিকে, মিসরের নেতৃত্বাধীন ২১টি মুসলিম দেশের গ্রুপটি ইসরায়েলের পারমাণবিক কর্মসূচির প্রতি ইঙ্গিত করেছে, যদিও ইসরায়েল জাতিসংঘের পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার নিয়ন্ত্রণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি।