ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো এককভাবে ধ্বংস করতে পারবে না ইসরায়েল। এমনটি জানিয়েছে আলজাজিরা।
স্টিমসন সেন্টারের জ্যেষ্ঠ সদস্য বারবারা স্ল্যাভিন আলজাজিরাকে জানিয়েছেন, ‘ইসরায়েল একা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ধ্বংস করতে সক্ষম নয়। তাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা অপরিহার্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইসরায়েল চাপ সৃষ্টি করছে যাতে যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে।’
ইরান জানিয়েছে, তারা দ্রুত বিশ্ব কূটনীতিতে ফিরে আসার চেষ্টা করছে। জাতিসংঘের পারমাণবিক শক্তি পর্যবেক্ষণ সংস্থা (আইএইএ) জানিয়েছে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ইসরায়েলি হামলার পর কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে, সংস্থাটি পরমাণু ও তেজস্ক্রিয় পদার্থের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে সতর্ক করেছে।
ইসরায়েল যদি ইরানে হামলা চালাতে চায়, তাহলে তিনি সমর্থন করবেন কি না- প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এর উত্তর হলো- না’। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ইসরায়েলের হামলাকে তিনি সমর্থন করবেন না।
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ভূগর্ভস্থ ও অত্যন্ত সুরক্ষিত হওয়ায় এককভাবে ইসরায়েল এসব স্থাপনায় হামলা চালাতে পারবে কি না- তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই স্থাপনাগুলোতে হামলা চালাতে হলে বাঙ্কার-বিধ্বংসী বোমা ও উন্নত প্রযুক্তির প্রয়োজন হবে যা শুধু যুক্তরাষ্ট্রের কাছে রয়েছে।
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলা শুধু সামরিক চ্যালেঞ্জ নয়, বরং এটি আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা এই পরিস্থিতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তাদের সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রাচ্যের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে প্রভাব ফেলবে।