ইসরায়েলের হামলার জবাবে আকাশ প্রতিরক্ষা গুঁড়িয়ে দিয়ে দেশটির মূল ভূখণ্ডে একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইরান। এসব হামলায় রীতিমত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হচ্ছে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ সব স্থাপনা। এমন পরিস্থিতিতে দ্বিতীয়বারের মত ছেলের বিয়ে পিছিয়ে দিলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) ইরানি হামলায় বিপর্যস্ত বিরশেবার সোরোকা হাসপাতালের সামনে পরিস্থিতির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই যুদ্ধের জন্য তাকে ও তার পরিবারকে ‘ব্যক্তিগত মাশুল’ চোকাতে হচ্ছে। তার পরিবার অন্য সবার মতো ত্যাগের পথে চলছে এখন। নিজের স্ত্রী সারাকে এই পারিবারিক ক্ষতি সামাল দেওয়ার কারণে ‘হিরো’ বলে সম্বোধন করেন নেতানিয়াহু।
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, বিয়ে পিছিয়ে যাওয়ায় ছেলে আবনার ও তার প্রেমিকা এবং স্ত্রী সারা খুবই কষ্ট পেয়েছেন। কিন্তু দেশের এই পরিস্থিতিতে তাকে এবং তাদের পরিবারকে এই ‘ব্যক্তিগত ক্ষতি’ মেনে নিতেই হচ্ছে। ‘যুদ্ধের ব্যক্তিগত মূল্য’ চোকানোর সপক্ষে নেতানিয়াহু জানান, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটেনের মতো পরিস্থিতি এখন ইসরাইলে।
উল্লেখ্য, আবনারের প্রথমবার বিয়ে ঠিক হয়েছিল গত নভেম্বরে। কিন্তু, সেবার হিজবুল্লার ড্রোন হামলা হয় ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত বাসভবনে। যদিও নেতানিয়াহু সেসময় বাড়িতে ছিলেন না। সেই বিয়ে ঠিক করা নিয়েও ইসরায়েলিদের সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি।
এদিকে,ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের সুযোগ দেয়া যাবে না উল্লেখ করে একমত হয়েছে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর বৈঠকের পর তাদের আলোচনার বিবৃতিতে এমনটি বলা হয়েছে।
ল্যামি মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতিকে ‘চরম বিপজ্জনক’ বলে উল্লেখ করেছেন এবং দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কীভাবে দীর্ঘমেয়াদে ইরানের পারমাণবিক ইস্যু সমাধান করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করেছেন বলে জানান।
তিনি বলেন, ‘কূটনৈতিক সমাধানের জন্য আগামী দুই সপ্তাহে একটি সুযোগের জানালা উন্মুক্ত রয়েছে।’
রুবিওর মুখপাত্র জানিয়েছেন, উভয় নেতা একমত হয়েছেন যে, ‘ইরান কখনই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি বা অর্জন করতে পারবে না।’