ঢাকা সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫

ইরানকে আর কতদিন ঠেকাতে পারবে ইসরায়েল?

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ২০, ২০২৫, ০৫:১০ পিএম
ইরান ও ইসরায়েলের পতাকা ও যন্ত্রপাতির কোলাজ।

ইরান-ইসরায়েল চলমান সংঘাতে ইরানকে আর কতদিন ঠেকিয়ে রাখতে পারবে ইসরায়েল—এ নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠছে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা মূল্যায়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত এক মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ‘চাঞ্চল্যকর’ তথ্য জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল (ডব্লিউএসজে)

ইরান ও ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মধ্যেই এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। গত ১৩ জুন ইরানের ওপর ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ পরিচালনা করে ইসরায়েল। এর প্রতিক্রিয়ায় ইরান ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে প্রায় ৪০০ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।

তেল আবিবের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইরানের এক-তৃতীয়াংশ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপক ধ্বংস করা হয়েছে এবং ইরানের আকাশের ওপর ‘শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের’ দাবি করেছে তারা।

তবে ইরানের অর্ধেকেরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ভূগর্ভস্থ স্থাপনায় সংরক্ষিত রয়েছে বলে সতর্ক করেছে পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।

ইসরায়েলের মাল্টিলেয়ার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে আয়রন ডোম, ডেভিড’স স্লিং, অ্যারো সিস্টেম, এবং যুক্তরাষ্ট্র সরবরাহকৃত প্যাট্রিয়ট ও থাড। ডব্লিউএসজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংঘাত শুরুর পর এগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় এখন ইসরায়েলের জন্য বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ইসরায়েলি দৈনিক দ্য মার্কার-এর এক প্রতিবেদন মতে, কেবল ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা কার্যক্রমের জন্য প্রতিরাতে ইসরায়েলের খরচ হচ্ছে প্রায় ২৮৫ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে শুধু অ্যারো সিস্টেমের প্রতিটি ইন্টারসেপ্টরের খরচ প্রায় ৩ মিলিয়ন ডলার।

ইরানের লাগাতার শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ফলে ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইতোমধ্যেই দুর্বল হয়ে পড়ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মার্কিন এবং ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত একটি সূত্র ডব্লিউএসজে-কে জানিয়েছে, ইরান যদি এভাবে হামলা অব্যাহত রাখে, তাহলে ইসরায়েল তার বর্তমান অস্ত্রভাণ্ডার দিয়ে ১০-১২ দিনের বেশি এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে পারবে না— যদি না যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি সহায়তা করে।