ইরানে পারমাণবিক হামলা চালানোর প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিভিন্ন শহরে রোববার (২২ জুন) থেকে বিক্ষোভ প্রতিবাদ চলমান।
ইরানের নাতাঞ্জ, ইসফাহান ও ফরদো- এই তিন পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র হামলার প্রতিবাদে রোববার থেকে বিক্ষোভ চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক, বোস্টন, শিকাগো, ওয়াশিংটন, লস অ্যাঞ্জেলসের মতো বড় শহরে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ কর্মসূচিকে ‘জরুরি সমাবেশ’ বলে বর্ণনা করেছেন আয়োজকরা।
নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিছু বিক্ষোভে শত শত মানুষ অংশ নেয়, কোনোটিতে কয়েক ডজন মানুষ দেখা গেছে। একাধিক স্থানে বিক্ষোভকারীরা ইরানের পতাকা বহন করেন। কেউ কেউ সাইনবোর্ড ও ব্যানার ধরে রেখেছিলেন বা সেগুলো বেষ্টনী ও ভবনের গায়ে লাগিয়ে রাখেন, যেখানে লেখা ছিল ‘ইরানে যুদ্ধ নয়!’
ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসের ফটকের বাইরে অন্তত ২০০ জন বিক্ষোভকারী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের হামলার নিন্দা জানান, যাদের মধ্যে কিছু সাবেক যোদ্ধাও ছিলেন।
৭৮ বছর বয়সি রন কারমাইকেল ভিয়েতনাম যুদ্ধে হেলিকপ্টার চালাতেন। রন বলেন, ‘তিনি (ট্রাম্প) একজন রাজা হয়ে উঠতে চাইছেন।’
শিকাগো শহরের কেন্দ্রস্থলে দুই শতাধিক বিক্ষোভকারী দেখা গেছে। বিক্ষোভকারীরা বলেছেন, ইরানের সঙ্গে উত্তেজনা গাজায় ফিলিস্তিনিদের দুর্ভোগ আরও বাড়াবে।
লস অ্যাঞ্জেলেসে ২৬ বছর বয়সি নার্স নুর আবদেল-হাক বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনার সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণেই তিনি এই বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন। তার পরিবারের বেশির ভাগ সদস্য গাজা বা ওয়েস্ট ব্যাংকে থাকেন। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই না; আরও হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চলুক।’
চলতি সপ্তাহে আরও বিক্ষোভের পরিকল্পনা রয়েছে, যার মধ্যে ২৮ জুন ওয়াশিংটন ডিসির ‘ইরান যুদ্ধ বন্ধ করো’ জাতীয় বিক্ষোভ অন্যতম। বিক্ষোভটি জাপান ও ইরানসহ বিশ্বব্যাপী পালিত হবে।
রোববার ট্রাম্প প্রশাসন হোয়াইট হাউস বিক্ষোভের প্রসঙ্গে আরও সহিংসতার ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, ‘সমঝোতা দ্রুত না আসলে আমরা লক্ষবস্তুতে নির্ভুলতা, দ্রুতি ও দক্ষতার সাথে হামলা করব।