ঢাকা সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫

পাথর কুচি পাতার উপকারিতা

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০২৫, ০৪:০৩ পিএম
পাথর কুচি পাতার উপকারিতা। ছবি: সংগৃহীত

ক্ষুদ্র আকারের এই ভেষজ পাতায় লুকিয়ে আছে অসাধারণ ওষুধি গুণ।পাথর কুচি পাতা (Stonebreaker Leaf) বাংলাদেশের গ্রামবাংলায় খুব পরিচিত একটি ভেষজ উদ্ভিদ। ছোটখাটো এই পাতার রয়েছে শক্তিশালী ঔষধি গুণ। বিশেষ করে কিডনির পাথর ভাঙা থেকে শুরু করে জ্বর, হজম সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপসহ নানা রোগ প্রতিরোধে পাথর কুচি পাতা ব্যবহার হয়ে থাকে। সহজলভ্য হলেও এর গুণাগুণ অনেক।

পাথর কুচি পাতার গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা

কিডনির পাথর দূর করতে সাহায্য করে

পাথর কুচি পাতার সবচেয়ে বড় পরিচিতি হচ্ছে কিডনির পাথর ভাঙার জন্য। নিয়মিত এই পাতার রস বা পানি পান করলে প্রস্রাবের মাধ্যমে কিডনির ছোট পাথর বের হয়ে যেতে পারে।

প্রস্রাবের সমস্যা দূর করে

প্রস্রাবে জ্বালা, সংক্রমণ বা বাধা থাকলে পাথর কুচি পাতা খুব উপকারী। এটি প্রস্রাব সহজ করে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক

গবেষণায় দেখা গেছে, পাথর কুচি পাতায় এমন কিছু উপাদান থাকে, যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে।

হজমশক্তি বাড়ায়

এটি হজমে সহায়ক এবং বদহজম, গ্যাস্ট্রিক বা পেটের অস্বস্তি কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

জ্বর কমায়

প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, পাথর কুচি পাতার রস বা পানির সাথে এই পাতা সেদ্ধ করে খেলে জ্বর কমানোর উপকার পাওয়া যায়।

প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে

পাথর কুচি পাতা শরীরের অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিক প্রদাহ কমাতে সহায়ক। এতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ রয়েছে।

অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিভাইরাল গুণ

এই পাতায় অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিভাইরাল উপাদান রয়েছে, যা সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

পাথর কুচি পাতা ব্যবহারের কিছু প্রচলিত পদ্ধতি

পাতার রস বের করে খাওয়া।
পানিতে সেদ্ধ করে সেই পানি পান করা।
কাঁচা পাতা চিবিয়ে খাওয়া (অতিরিক্ত নয়)।
পাতার পেস্ট তৈরি করে ত্বকের ক্ষত বা ফুসকুড়িতে লাগানো।

সতর্কতা

যাদের দীর্ঘদিন ধরে গুরুতর কিডনি সমস্যা আছে, তারা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এটি ব্যবহার করবেন না।
গর্ভবতী নারী ও ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যবহার ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
অতিরিক্ত পাতা খেলে পেট খারাপ বা অন্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
সব ভেষজের মতো, পাথর কুচি পাতাও পরিমিত ও সঠিকভাবে ব্যবহার করা জরুরি।

পাথর কুচি পাতা ছোট হলেও এতে রয়েছে অসাধারণ ভেষজ গুণ। কিডনির পাথর ভাঙা, প্রস্রাবের সমস্যা দূর করা, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, হজমশক্তি বাড়ানো এবং প্রদাহ কমানোর মতো নানা ক্ষেত্রে এটি কার্যকর। তবে এটি ব্যবহারের আগে সতর্ক থাকা উচিত এবং যেকোনো জটিল সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।