ঢাকা সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫

পাঙ্গাস মাছ খাওয়ার উপকারিতা

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০২৫, ০৪:২১ পিএম
পাঙ্গাস মাছ খাওয়ার উপকারিতা। ছবি: সংগৃহীত

সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী এই মাছ শরীরের পুষ্টি ঘাটতি পূরণে কার্যকর।পাঙ্গাস মাছ বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় চাষের মাছ। দাম সাশ্রয়ী এবং সহজে মিলিয়ে যাওয়ায় এটি শহর-গ্রাম সর্বত্র খুব সহজলভ্য। অনেকেই পাঙ্গাস মাছের পুষ্টি নিয়ে প্রশ্ন করলেও বাস্তবে এই মাছ নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে খাওয়ার মাধ্যমে দেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টি, প্রোটিন এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া সম্ভব।

পাঙ্গাস মাছ খাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা

প্রোটিনের ভালো উৎস

পাঙ্গাস মাছ প্রোটিনে ভরপুর। শরীরের গঠন, পেশি বৃদ্ধি এবং ক্ষয়পূরণে এই মাছ কার্যকর ভূমিকা রাখে।

ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে

পাঙ্গাস মাছের চর্বিতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা হার্টের জন্য উপকারী এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।

হার্ট সুস্থ রাখে

এই মাছের নিয়মিত ও পরিমিত সেবনে শরীরে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে সাহায্য করে এবং হার্ট সুস্থ থাকে।

ত্বক ও চুলের জন্য ভালো

ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান ত্বককে সতেজ ও উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে। চুলের গোড়া মজবুত হয় এবং চুল পড়া কমে।

শরীরের শক্তি জোগায়

পাঙ্গাস মাছের প্রোটিন ও অন্যান্য খাদ্য উপাদান শরীরে শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। শারীরিক দুর্বলতা দূর করতে এটি ভালো ভূমিকা রাখে।

হাড় ও দাঁতের জন্য উপকারী

পাঙ্গাস মাছ ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের উৎস, যা হাড় ও দাঁতকে মজবুত রাখতে সহায়ক।

ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে

পাঙ্গাস মাছ কম ক্যালোরির এবং উচ্চ প্রোটিনসমৃদ্ধ হওয়ায় এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করতে পারে, যদি সঠিকভাবে রান্না করা হয়।

সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী পুষ্টি উৎস

দেশের বাজারে পাঙ্গাস মাছ সহজলভ্য এবং দাম তুলনামূলক কম। তাই নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো সহজেই এই মাছের মাধ্যমে পুষ্টি পূরণ করতে পারে।

কিছু সতর্কতা

চাষের পদ্ধতি ভালো না হলে বা দূষিত পরিবেশে বড় হওয়া পাঙ্গাস মাছে ক্ষতিকর রাসায়নিক থাকতে পারে, তাই ভালো উৎস থেকে মাছ কেনা উচিত।
যারা উচ্চমাত্রার পারদ বা বিষাক্ত ধাতুর ভয়ে মাছ এড়িয়ে চলেন, তাদের উচিত বিশ্বস্ত বাজার বা ব্র্যান্ডের মাছ কেনা।
অতিরিক্ত তেল বা ঝোল দিয়ে পাঙ্গাস মাছ রান্না করলে এর স্বাস্থ্য উপকারিতা কমে যেতে পারে।

পাঙ্গাস মাছ সহজলভ্য, সাশ্রয়ী এবং যথেষ্ট পুষ্টিকর একটি খাবার। প্রোটিন, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ক্যালসিয়ামসহ নানা উপাদানে ভরপুর এই মাছ নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখলে শরীরের পুষ্টি ঘাটতি পূরণ সম্ভব। তবে ভালো মানের মাছ নির্বাচন ও স্বাস্থ্যসম্মত রান্নার পদ্ধতি অনুসরণ করলেই এর পূর্ণ উপকারিতা পাওয়া যায়।