ঢাকা সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫

মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে কারা?

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০২৫, ০৭:৪৩ পিএম
ছবি- এআই দিয়ে তৈরি

পারমাণবিক ইস্যুতে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই তীব্র হচ্ছে। ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে চলছে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা। ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের আক্রমণ করায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে বিশ্বজুড়ে।

কঠোর হুমকি দিয়েছে তেহরান। সংযম নয়, প্রতিশোধ নেবে তারা। সকল মার্কিন স্থাপনা ও নাগরিকদের ‘বৈধ লক্ষ্যবস্তু’ হিসেবে ঘোষণাও দিয়েছে। এরপরই ঘটলো মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলার ঘটনা।

সোমবার (২৩ জুন) সিরিয়ার কাসরুক এলাকায় ওই হামলার তথ্য ওয়াকিবহাল সূত্রের বরাত দিয়ে জানায় ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা মেহের।

প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় অবস্থিত একটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে। দেশটির এল-হাসাকা প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলে কাসরুক এলাকায় অবস্থিত আমেরিকান সামরিক স্থাপনা লক্ষ্যবস্ত করা হয়েছিল। হামলার ধরন বা এতে কী ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে—সে বিষয়ে এখনো স্পষ্ট কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।

এমনকি, এখন অবধি ওই হামলার দায় স্বীকার করেনি কেউই। এই বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনও কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।

এর আগে, ইরানের তিন পরমাণু কেন্দ্রে মার্কিন হামলার পর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘শাস্তি অব্যাহত’ থাকবে বলে প্রতিজ্ঞা করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ দেওয়া এক পোস্টে তিনি জানান, ‘জায়নবাদী শত্রু বড় ভুল করেছে, বড় অপরাধ করেছে; এর শাস্তি অবশ্যই পেতে হবে এবং তারা সেই শাস্তি পাচ্ছে; তারা এখনই শাস্তি পাচ্ছে।’

ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) বলেছে, ইরানে হামলা করে যুক্তরাষ্ট্র অপরাধ করেছে। মার্কিন সরকার অতীতের মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধগুলো থেকে শিক্ষা নেয়নি। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় আজকের বোমা হামলার জন্য পরিণতি ভোগ করবে যুক্তরাষ্ট্র।

তবে, সিরিয়ায় মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলার আগের দিন দেশটির রাজধানী দামেস্কের একটি গ্রিক অর্থোডক্স গির্জায় আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ২০ জন প্রাণ হারায়, আহত হন আরও ৫২ জন। সিরিয়ার সরকার দাবি করেছিল ওই হামলার সঙ্গে ইসলামিক স্টেটের (আইএসআইএস) সম্পৃক্ত। যদিও এই সন্ত্রাসী হামলার দায়ও কোনো গোষ্ঠী স্বীকার করেনি।

দামেস্কের মার ইলিয়াস গির্জার ধর্মসভারি ওই ঘটনায় তুরস্ক, জর্ডান, ইরাক, ইসরায়েল, গ্রিস, সাইপ্রাস, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, সৌদি আরব, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ, ইয়েমেন, ওমান, বাহরাইন, ইউক্রেন, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, চেক প্রজাতন্ত্র ও নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিন্দা জানিয়েছে।