বিশ্বব্যাপী যখন ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জোরালো হচ্ছে, ঠিক সেই সময় তেহরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে হামলা চালিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যা রীতিমতো মধ্যপ্রাচ্যের চলমান উত্তেজনাকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে। এমন পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকটি দেশ ইরানকে সরাসরি পারমাণবিক অস্ত্র সরবরাহ করতে প্রস্তুত বলে দাবি করেছেন রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হলেও পরমাণু কর্মসূচি থেকে সরে আসবে না ইরান। দেশটির প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত এই কর্মসূচিকে হুমকি ও যুদ্ধ দিয়ে দমিয়ে রাখা যাবে না। এমন পরিস্থিতিতে ইরানকে পরমাণু অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করার গুঞ্জন ক্রমশই প্রবল হচ্ছে। এমনটা হলে কোন কোন দেশ ইরানকে দিতে পারে পরমাণু অস্ত্র?
রাশিয়া, চীন, উত্তর কোরিয়া ও পাকিস্তান বিভিন্ন সময়ে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে সহযোগিতা করেছে। তবে সরাসরি পরমাণু অস্ত্র সরবরাহ বা উন্নয়নে সহায়তার প্রমাণ সীমিত এবং অনেক ক্ষেত্রে এটি গোপন বা অপ্রকাশিত রয়ে গেছে।
রাশিয়া
রাশিয়া ইরানের বুশেহর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করেছে এবং অতিরিক্ত পারমাণবিক উপাদান সরিয়ে নিয়ে তা রিঅ্যাক্টর ফুয়েলে রূপান্তরের প্রস্তাব দিয়েছে। তবে পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর আশঙ্কা, রাশিয়া ইরানকে পরমাণু অস্ত্র প্রযুক্তি সরবরাহ করছে ।
চীন
১৯৮০ ও ১৯৯০-এর দশকে চীন ইরানকে গবেষণা রিঅ্যাক্টর, ইউরেনিয়াম হেক্সাফ্লোরাইড এবং অন্যান্য পারমাণবিক প্রযুক্তি সরবরাহ করেছে। চীন ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচির পক্ষে এবং পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করে। তবে সরাসরি পরমাণু অস্ত্র সহযোগিতার প্রমাণ নেই।
উত্তর কোরিয়া
উত্তর কোরিয়া ইরানকে ব্যালিস্টিক মিসাইল প্রযুক্তি সরবরাহ করেছে, যা পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম। ২০০৭ সালে ইরানি বিজ্ঞানীরা উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক পরীক্ষার ফল পর্যালোচনা করেছেন বলে জানা গেছে, যা পরমাণু অস্ত্র উন্নয়নে সহযোগিতার ইঙ্গিত দেয়।
পাকিস্তান
পাকিস্তানের বিজ্ঞানী এ.কিউ. খান ইরানকে সেন্ট্রিফিউজ ডিজাইন ও উপাদান সরবরাহ করেছেন, যা ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ সক্ষমতা বাড়িয়েছে।