ঢাকা সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫

বাফুফের ট্রায়ালে আসছেন ৪৮ প্রবাসী ফুটবলার

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০২৫, ০১:২৬ পিএম
আগামী ২৮, ২৯ ও ৩০ জুন ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু হবে এই বিশেষ ট্রায়াল। ছবি- সংগৃহীত

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) দেশীয় ফুটবলের মান উন্নয়নে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। আগামী ২৮, ২৯ ও ৩০ জুন ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এক বিশেষ ট্রায়ালের আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে অংশ নিতে চলেছেন ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা ৪৮ জন প্রবাসী ফুটবলার। 

জাতীয় দল ও বয়সভিত্তিক দলগুলোর জন্য প্রতিভাবান খেলোয়াড় খুঁজে বের করাই এই ট্রায়ালের মূল উদ্দেশ্য।

এক যুগ আগে জামাল ভূঁইয়াকে দিয়ে যে স্বপ্নযাত্রা শুরু হয়েছিল, এবার তাতে নতুন করে হাওয়া লেগেছে হামজা চৌধুরীর রাজসিক আগমনে।

সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে পাঁচ প্রবাসী ফুটবলারের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর থেকেই বাংলাদেশ ফুটবলে প্রবাসী খেলোয়াড়দের নিয়ে উন্মাদনা এখন তুঙ্গে। 

শুধু জাতীয় দল নয়, বয়সভিত্তিক দলেও এই ঢেউ লেগেছে, আর এরই ধারাবাহিকতায় বাফুফে আয়োজন করছে এক বিশাল ট্রায়াল। যেখানে নিজেদের প্রমাণ করতে দেশের বাইরে থেকে আসছেন ৪৮ জন প্রতিভাবান ফুটবলার।

এই ট্রায়ালকে ঘিরে ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে। জানা গেছে, সব ফুটবলারই ব্যক্তিগত খরচে ঢাকায় আসছেন, যা তাদের ফুটবলের প্রতি গভীর নিষ্ঠারই প্রমাণ। 

বাফুফে তাদের জন্য জার্সি, শর্টস ও মোজার ব্যবস্থা করলেও, বাকি সরঞ্জাম নিজেদেরই জোগাড় করে নিতে হবে। ট্রায়ালটির তত্ত্বাবধানে থাকছে বাফুফের টেকনিক্যাল কমিটি, যারা অত্যন্ত সতর্কতার সাথে খেলোয়াড়দের যাচাই-বাছাই করবে।

সম্ভাবনাময় মিডফিল্ডার ও উইঙ্গারদের ভিড়, নজর কাড়ছেন স্ট্রাইকাররাও

৪৮ জন ফুটবলারের মধ্যে বেশির ভাগই লেফট উইং কিংবা মিডফিল্ডার পজিশনের। তবে স্ট্রাইকারের সংখ্যা কম হলেও, যারা আসছেন তারা খুবই ভালো মানের বলে জানিয়েছেন ট্রায়ালের কো-অর্ডিনেটর সাকিব মাহমুদ। 

তিনি বলেন, আমরা তিনজন স্ট্রাইকার আনছি। এর মধ্যে দুজন ইংল্যান্ডের লিগে খেলে, আরেকজন বয়সভিত্তিক লিগে। তারা ক্লাবের হয়ে স্ট্রাইকার হিসেবেই খেলে থাকে। 

এই প্রতিভাবান স্ট্রাইকারদের নাম এখনই প্রকাশ করতে চাননি সাকিব।

ট্রায়ালের প্রথম দিন: সকাল ৮টা থেকে শুরু, থাকছে বিপ টেস্টও

ট্রায়ালের প্রথম দিনের কার্যক্রম সম্পর্কে সাকিব মাহমুদ বিস্তারিত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ট্রায়াল শুরু হবে সকাল ৮টায় এবং শেষ হবে বেলা ১টায়। প্রথমে স্মল ফাইভের একটি ম্যাচ হবে, যেখানে দুজন করে দল হয়ে খেলবে। 

এরপর বিপ টেস্ট হবে এবং সবশেষে স্বল্প সময়ের কয়েকটি ম্যাচ খেলা হবে। এটি খেলোয়াড়দের শারীরিক সক্ষমতা এবং মাঠে তাদের কৌশলগত বোঝাপড়া যাচাই করার একটি সুবর্ণ সুযোগ।

ট্রায়ালকে সফল করতে বাফুফে পাঁচ সদস্যের একটি স্বাধীন প্যানেল গঠন করবে। এই প্যানেলে বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর সাইফুল বারী টিটুসহ সাবেক খেলোয়াড়রাও থাকতে পারেন।

তিন দিনের ট্রায়ালের পর এই প্যানেল থেকে একটি বিশদ ডেটাবেইস তৈরি করা হবে। সাকিব মাহমুদ বলেন, ট্রায়ালে টিকে যাওয়ার পর তাদের একটি রিপোর্ট কার্ড তৈরি হবে। 

এরপর আলাদাভাবে সবার সঙ্গে কথা বলা হবে যে কে কোন টুর্নামেন্টে খেলতে পারবে। যেহেতু বিদেশে থাকে, সবাইকে তো আর সবসময় পাওয়া যাবে না। সবারই নানা ব্যস্ততা রয়েছে।

এটি বাফুফের একটি দূরদর্শী পদক্ষেপ, যা ভবিষ্যতের জন্য একটি শক্তিশালী খেলোয়াড় পুল তৈরি করতে সাহায্য করবে।