ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্টের হামলা চালানোর প্রতিবাদে তেহরানের সড়কে নেমে এসেছে হাজারো ইরানি জনগণ। তাদের সঙ্গে অংশ নিয়েছে দেশটির প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান।
রোববার (২২ জুন) তেহরানের আজাদি স্কয়ার, ফার্দৌসি স্কয়ার, ইমাম হোমেইনি মসজিদের সামনে এবং পার্লামেন্ট ভবনের সামনে এই বিক্ষোভ সংঘটিত হয়।
বিক্ষোভে ‘আমেরিকার আগ্রাসনের জবাব চাই’, ‘আমেরিকা নিপাত যাক’, ‘ইসরায়েল ধ্বংস হোক’- এমন নানা স্লোগান দিতে দেখা যায়। পরে তেহরানের আজাদি স্কয়ারে আসেন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান।
প্রতিবাদকারীদের হাতে ছিল ইরানি পতাকা, নিহতদের ছবি এবং ট্রাম্প ও ইসরায়েলি নেতাদের কুশপুতুল। অনেকে হাতে ধরে রেখেছিলেন ব্যানার যাতে লেখা ছিল- ‘আমরা প্রতিরোধ করবো, আত্মসমর্পণ নয়’, ‘হামলা হলে জবাব আসবেই’, ‘পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের রক্ত বৃথা যাবে না’।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া একজন বলেন, ‘এই হামলা কেবল ইরানের নয়, সব মুসলিম বিশ্বের ওপর আঘাত। আমেরিকা জানে না, ইরান কখনো মাথানত করে না।’
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এবং স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বিক্ষোভের লাইভ সম্প্রচার করে। অনেক জায়গায় ধর্মীয় নেতারা উপস্থিত থেকে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করেন প্রতিরোধে সক্রিয় থাকতে।
ইরানের ওপর হামলায় বিশেষ করে আইআরজিসি প্রধান ও পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের নিহতের ঘটনায় দেশব্যাপী জাতীয় ঐক্য ও ক্ষোবের বহির্প্রকাশ। এ বিক্ষোভকে খামেনি জাতির সাহসিকতার পরিচায়ক হিসেবে অভিহিত করেন।