ঢাকা বুধবার, ২৫ জুন, ২০২৫

ইরান ৪০০ কেজি ইউরেনিয়াম সরিয়েছে, দাবি যুক্তরাষ্ট্রের

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০২৫, ০৭:৩২ পিএম
এআই দিয়ে তৈরি ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনা

ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র ছয়টি বাংকার বিধ্বংসী বোমা নিক্ষেপ করার আগেই সেখান থেকে ৪০০ কেজি ইউরেনিয়াম সরানো হয়েছিল। এই বিপুল পরিমাণ ইউরেনিয়াম দিয়ে অন্তত ১০টি পারমাণবিক বোমা তৈরি করা সম্ভব।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজের কাছে এ তথ্য জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স।

যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ইরানের তিনটি প্রধান পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার পর থেকে ওই ৪০০ কেজি ইউরেনিয়ামের কোনো খবর পাওয়া যাচ্ছে না। যা দিয়ে  প্রায় ১০টি পারমাণবিক বোমা তৈরি করা সম্ভব।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সরানো ইউরেনিয়াম ৬০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ ছিল। পারমাণবিক অস্ত্রের জন্য এটিকে আরও ৯০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ করা প্রয়োজন।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিখোঁজ ইউরেনিয়ামকে ইরানের কূটনৈতিক দর-কষাকষির একটি শক্তিশালী অস্ত্র হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বিশেষ করে, তেহরান যদি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন করে পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে আলোচনায় বসে।

এ নিয়ে ইসরায়েলি কর্মকর্তারাও দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে জানিয়েছেন, ‘গত রোববার যুক্তরাষ্ট্রের হামলার আগেই ইরান সরকার ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান পারমাণবিক স্থাপনাগুলো থেকে গোপনে ওই ইউরেনিয়াম সরিয়ে নেয়।

যুক্তরাষ্ট্রের স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে, হামলার আগে ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনার বাইরে ১৬টি ট্রাক সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ছিল। পাহাড়ের ভেতরে নির্মিত এই স্থাপনাটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে সুরক্ষিত বলেই মনে করা হয়।

হামলার পর স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা যায়, বাংকার বিধ্বংসী বোমার আঘাতে ফোরদোতে বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। তবে হামলার আগে যে ট্রাকগুলো দেখা গিয়েছিল, সেগুলোর কোনো অস্তিত্ব পরে আর পাওয়া যায়নি।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, ট্রাকগুলোতে করে ওই ইউরেনিয়াম ইরানের প্রাচীন রাজধানী ইস্পাহানের কাছে কোনো ভূগর্ভস্থ গুদামে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)-এর প্রধান রাফায়েল গ্রোসি জানিয়েছেন, ইরানের ওপর ইসরায়েলি হামলা শুরুর এক সপ্তাহ আগেই সর্বশেষ ফোর্ডো পরমাণু স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়েছিল।

গত সপ্তাহে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে গ্রোসি বলেন, ‘ফোরদো পরিদর্শন পুনরায় শুরু করা এখন জরুরি। তবে ইরান-ইসরায়েল চলমান সংঘাতের কারণে এই কাজ বিলম্বিত হচ্ছে। পাশাপাশি ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখতে কূটনৈতিক সমাধানের পথও সংকুচিত হচ্ছে।’