ঢাকা রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫

আপাতত শান্ত হলো সুইদা, ফিরে গেছে বেদুইন যোদ্ধারা

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২০, ২০২৫, ১১:১৪ এএম
সিরিয়ার দ্রুজ-অধ্যুষিত শহর সুইদায় শনিবার জড়ো হতে থাকে বেদুইন যোদ্ধারা। ছবি- সংগৃহীত

সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় সুইদা শহরে সহিংসতা থেমে গেছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। টেলিগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নূরুদ্দিন আল-বাবা বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের জোরালো প্রচেষ্টার মাধ্যমে উত্তর ও পশ্চিম সুইদা এলাকায় বাহিনী মোতায়েনের পর যুদ্ধবিরতি সম্ভব হয়েছে। সুইদা শহর থেকে বেদুইন যোদ্ধাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং শহরের পাড়া-মহল্লায় সংঘর্ষ বন্ধ হয়েছে।’

সংবাদমাধ্যম আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে রোববার এ খবর জানানো হয়েছে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সিরীয় সরকারকে দক্ষিণাঞ্চলে ‘জিহাদিদের প্রবেশ ও হত্যাযজ্ঞ বন্ধে’ নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েনের আহ্বান জানিয়েছিলেন।

রুবিও যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক বিবৃতিতে লেখেন, ‘যদি দামেস্ক কর্তৃপক্ষ সিরিয়াকে শান্তিপূর্ণ হিসেবে গড়ে তুলতে চায়, তাহলে তাদের উচিত দায়েশ (আইএস) ও অন্যান্য সন্ত্রাসীকে ওই অঞ্চলে প্রবেশ এবং গণহত্যা ঠেকাতে সক্রিয় ভূমিকা নেওয়া।’

সুইদা শহর এবং আশপাশের এলাকায় বেদুইন গোষ্ঠী ও দ্রুজ সম্প্রদায়ের মধ্যকার সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে সিরিয়ার ইসলামপন্থি নেতৃত্বাধীন সরকার, ‘ইসরায়েল’ এবং অন্যান্য আদিবাসী গোষ্ঠীগুলোর সম্পৃক্ততা দেখা গেছে।

এর আগে সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় আলোচনার ফলে ইসরায়েলি সেনা হস্তক্ষেপ এড়ানো সম্ভব হয় এবং সিরীয় বাহিনী ওই অঞ্চল থেকে সরে যেতে রাজি হয়।

রুবিও বলেন, ‘তিন দিন ধরে ইসরায়েল, জর্ডান এবং দামেস্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দক্ষিণ সিরিয়ার ভয়াবহ ও বিপজ্জনক পরিস্থিতি নিয়ে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যারা এই সংঘর্ষে নৃশংসতা চালিয়েছে, তারা সিরীয় বাহিনীর সদস্য হোক বা অন্য কেউ, তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে।’

২০১৯ সালে দায়েশ সিরিয়ায় তাদের সর্বশেষ ভূখণ্ড হারায়। তাদের বিরুদ্ধে বিজয়ে নেতৃত্ব দিয়েছিল কুর্দিদের নেতৃত্বাধীন বাহিনী, যাদের একটি আন্তর্জাতিক জোট সমর্থন করেছিল।

গত ১৩ জুলাই থেকে শুরু হওয়া দ্রুজ ও বেদুইন গোষ্ঠীর মধ্যে সহিংসতায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৯৪০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক যুদ্ধ পর্যবেক্ষণ সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস।

নিহতদের মধ্যে রয়েছে ৩২৬ দ্রুজ যোদ্ধা, ২৬২ দ্রুজ বেসামরিক নাগরিক, ৩১২ জন সরকারপন্থি নিরাপত্তা সদস্য এবং ২১ জন বেদুইন যোদ্ধা।