ঢাকা বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৫

আক্কেলপুরে চিলাহাটি এক্সপ্রেসের যাত্রাবিরতির অনুমোদন

আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ৩০, ২০২৫, ০৭:৩৬ পিএম
ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

বহু প্রতীক্ষার পর অবশেষে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর রেলস্টেশনে চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতির সাময়িক অনুমতি দিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন-৬ শাখার অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র সহকারী সচিব ফাতেমা-তুজ জোহরা স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানা গেছে।

আদেশে বলা হয়েছে, চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনের আক্কেলপুর স্টেশনে সাময়িকভাবে যাত্রাবিরতির অনুমোদন দেওয়া হলো। পরবর্তী সময়ে আয়-ব্যয় বিবেচনা করে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে।

রেলওয়ের এ সিদ্ধান্তে আক্কেলপুর ও আশপাশের এলাকার যাত্রীদের মধ্যে আনন্দ ও স্বস্তি ফিরে এসেছে। দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়রা ট্রেনটির আক্কেলপুরে যাত্রাবিরতির দাবি জানিয়ে আসছিলেন।

গত রোববার (২৬ অক্টোবর) আক্কেলপুরে চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে আক্কেলপুরবাসীর ব্যানারে রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন যাত্রাবিরতি বাস্তবায়ন সমন্বয়ক ও আক্কেলপুর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আব্দুর রউফ মাজেদ। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।

রূপালী বাংলাদেশ অনলাইনে মানববন্ধনের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর বিষয়টি রেলপথ মন্ত্রণালয়ের নজরে আসে বলে জানা গেছে।

আক্কেলপুর পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম চপল বলেন, ‘এটি আক্কেলপুরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। অবশেষে রেলপথ মন্ত্রণালয় বিষয়টি বাস্তবায়ন করায় আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এই স্টেশন দিয়ে ক্ষেতলাল, বগুড়ার দুপচাচিয়া, নওগাঁর বদলগাছি ও পত্নীতলার মানুষও যাতায়াত করেন। আশা করি, এই সাময়িক অনুমতি স্থায়ী রূপ পাবে এবং সময়সূচি এমনভাবে নির্ধারণ করা হবে যাতে যাত্রীরা সর্বোচ্চ উপকৃত হন।’

আক্কেলপুরের প্রবীণ সাংবাদিক ওমপ্রকাশ আগরওয়ালা বলেন, ‘চিলাহাটি এক্সপ্রেস থামলে উত্তরাঞ্চলের জেলা শহরগুলোতে যাতায়াত আরও সহজ হবে। শুরু থেকেই ট্রেনটির এখানে যাত্রাবিরতি দেওয়া উচিত ছিল।’

বদলগাছি উপজেলার বাসিন্দা শামীম হোসেন বলেন, ‘আমরা সাময়িক অনুমোদনে খুশি। দ্রুত বাস্তবায়ন দেখতে চাই।’

আক্কেলপুর রেলস্টেশনের মাস্টার রেহেনা পারভীন বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই চিলাহাটি এক্সপ্রেসের যাত্রাবিরতির কথা শুনছি। তবে এখনো কোনো অফিস আদেশ হাতে পাইনি।’