ঢাকা শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫

শিশুর খাবার জোগাড়ে ব্যর্থ মায়ের কান্না, ডাকলেন আল্লাহকে

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২৪, ২০২৫, ১১:৩৯ পিএম
গাজায় একটু খাবারের আশায় ত্রাণকেন্দ্রে ভিড়। ছবি- সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় দিন দিন আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করছে মানবিক সংকট। ক্ষুধার্ত সন্তানদের জন্য খাবার সংগ্রহ করতে গিয়ে বারবার ব্যর্থ হচ্ছেন মায়েরা। ‘ইসরায়েলের’ ইচ্ছাকৃতভাবে তৈরি এমন মানবিক বিপর্যয় কাঁদাচ্ছে বিশ্ববাসীকে। সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে এই বিপর্যয়ের এক হৃদয়বিদারক চিত্র।

সন্তানের খাবার জোগাড়ে ব্যর্থ এমনই এক মা সাবরিন আবু আল-কাস কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। জানালেন, আল্লাহকে ডাকা ছাড়া আর উপায় নেই তার।

শাতি শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দা, ১০ সন্তানের এই মা বলেন, ‘আমি আমার সন্তানদের জন্য খাবার আনতে গিয়েছিলাম, কিন্তু সেখানেই অজ্ঞান হয়ে পড়ি। কেউ এগিয়ে আসেনি সাহায্য করতে।’

তিনি আরও জানান, ‘আমি কোনো ত্রাণই আনতে পারিনি। যেভাবে গিয়েছিলাম, সেভাবেই খালি হাতে ফিরেছি। ৫০ বার চেষ্টা করে একবার মাত্র কিছু খাবার পেয়েছিলাম। হাজার হাজার নারীর মধ্যে একবার মাত্র...।’

‘এখানে কোনো ময়দা নেই, কোনো খাবার নেই, কিছুই নেই। আমার স্বামী, যার উপর নির্ভর করতাম, সে আর নেই—উনি নিহত হয়েছেন। এখন আমাকে সাহায্য করবে কে? শুধুই আল্লাহ,’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন তিনি।

হানান ফারেস নামের আরেক নারী বলেন, “আমার সবচেয়ে ছোট নাতনি পর্যন্ত কাঁদছে আর বলছে, ‘দাদি, আমি রুটি চাই। আমি ক্ষুধার্ত’। কিন্তু আমি তাকে কিছুই দিতে পারিনি।”

তিনি আরও বলেন, ‘এটা তৃতীয়বার হলো, আমি খাবার ত্রাণ আনার চেষ্টা করেছি, কিন্তু প্রতিবারই ব্যর্থ হয়েছি। কিছুই জোগাড় করতে পারিনি। আল্লাহ সাক্ষী, আর যারা দায়ী, আল্লাহ যেন তাদের বিচার করেন।’

শেষে তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘শিশুদের সঙ্গে এমনটা কেন করা হচ্ছে? ওরা কী দোষ করেছে?’

এদিকে, বৃহস্পতিবার ভোর থেকে ‘ইসরায়েলি’ হামলায় গাজায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৫১ ফিলিস্তিনি, এর মধ্যে ত্রাণপ্রাত্যাশী ছিলেন ১২ জন।