ঢাকা মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫

বিক্ষোভ উত্তাল মিশল, পুলিশ স্টেশনে হামলা

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২৮, ২০২৫, ০৬:৩১ পিএম
মিশর ও গাজা উপত্যকার মধ্যে রাফাহ ক্রসিং বন্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ।- এএফপি

স্বাধীন ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ‘ইসরায়েলি’ অবরোধের প্রতিবাদে মিশরের রাস্তায় নেমে এসেছে নাগরিকরা। সীমান্তঘেঁষা গাজায় তীব্র খাদ্য, পানি, ওষুধের মানবিক সংকট মেনে নিতে পারছেন না তারা। বিক্ষোভের এক পর্যায়ে পুলিশ স্টেশনের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা দপ্তরে হামলা করে বসে বিক্ষুব্ধরা।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) রাতে মিশরের হেলওয়ানের মা'আসারায় এই হামলা চালায় ‘আয়রন ১৭’ নামে পরিচিত একদল তরুণ। তারা কয়েকজন নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে রাখে। ২০১৩ সালে আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি ক্ষমতায় আসার পর এই ধরনের ঘটনা এটিই প্রথম।

ঘটনার ভিডিও দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি শুধু একটি সরকারি ভবনে হামলা নয়, বরং গাজা সংকট এবং রাফাহ ক্রসিং বন্ধের বিষয়ে জনগণের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। ২০২৪ সালের মে মাসে ‘ইসরায়েল’ ফিলিস্তিনি দিকের রাফাহ দখল করার পর থেকে গাজার মানবিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে, যেখানে শিশুসহ অনেকেই অনাহারে মারা যাচ্ছে।

মিশরীয় সরকার দাবি করছে, তারা বন্ধের জন্য দায়ী নয়। তবে উত্তর সিনাইয়ের গভর্নর খালেদ মেগাওয়ার এক সাক্ষাৎকারে বলেন, মার্কিন বিরোধিতার কারণে রাফাহ পুনরায় চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। সমালোচকরা এই মন্তব্যকে মিশরের ভূমিকার অন্তর্নিহিত স্বীকারোক্তি হিসেবে দেখছেন।

হামলার পর টেলিগ্রাম চ্যানেল ‘নেশনস ফ্লাড’-এ ফাঁস হওয়া ভিডিও ও নথিতে দেখা গেছে, দলটি শুক্রবারের নামাজের সময় নিরাপত্তার দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে ভবনে প্রবেশ করে। ফাঁস হওয়া তালিকায় মিশরের ‘নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ’ কর্মসূচির আওতাধীন মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের নাম রয়েছে, যাদের নিয়মিত চেক-ইন করতে হয়।

স্বাধীন তথ্য-যাচাই উদ্যোগ ফ্যাক্টচেকার কয়েকটি নামের সত্যতা নিশ্চিত করেছে, যাদের মধ্যে রয়েছে ‘হেলওয়ান ব্রিগেডস’ মামলার সঙ্গে যুক্ত ফাতি রজব হাসান আহমেদ ও আহমেদ নাদি হাদ্দাদ দারবিশ। এছাড়া জোরপূর্বক নিখোঁজ তালিকায় থাকা আবদেল রহমান রমজান মোহাম্মদ আবদেল শফিকেও ওই নথিতে দেখা গেছে।

ঘটনার পর মিশরের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নতুন করে উত্তপ্ত হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, গাজা সংকট ও রাফাহ ক্রসিং নিয়ে ক্ষোভ ক্রমেই সিসি সরকারের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে।
 

তথ্যসূত্র: মিডল ইস্ট আই