ঢাকা রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

গাজা যুদ্ধ বন্ধের পথ হামাস নেতাদের হত্যা : নেতানিয়াহু

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৫, ১২:০১ পিএম
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। ছবি- সংগৃহীত

কাতারে অবস্থানরত হামাসের শীর্ষ নেতারা গাজার সব জিম্মি মুক্তি ও যুদ্ধ শেষ করার পথে প্রধান বাধা বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এ সময় এসব শীর্ষ নেতাকে হত্যা করলে গাজা যুদ্ধের সমাপ্তি হবে বলে জানায় নেতানিয়াহু। গতকাল শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এ মন্তব্য করেন তিনি।

এ হামলার সাফাই গেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘কাতারে বসবাসরত হামাস সন্ত্রাসী প্রধানরা গাজার জনগণের কথা ভাবে না। তারা সব যুদ্ধবিরতি প্রচেষ্টা আটকে দিয়েছে, যেন যুদ্ধকে অনন্তকাল ধরে টেনে নিয়ে যাওয়া যায়। তাদের সরিয়ে ফেলা মানে হবে জিম্মিদের মুক্তি ও যুদ্ধের সমাপ্তির পথে প্রধান বাধা দূর হয়ে যাওয়া।’

তার মন্তব্যের কিছুক্ষণ পরেই রুবিও সাংবাদিকদের জানান, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কাতার হামলা নিয়ে ‘খুশি নন’। তবে এতে দ্বিপক্ষীয় জোট প্রভাবিত হবে না। তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের সম্পর্কের প্রকৃতি বদলাবে না, তবে মূলত আমাদের আলোচনা করতে হবে, গাজায় যুদ্ধবিরতির কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ওপর এর প্রভাব কী হতে পারে।

ইসরায়েল সম্প্রতি কাতারের রাজধানী দোহায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের নেতৃত্বকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে হামাসের পাঁচ সদস্যসহ এক কাতারের নাগরিক নিহত হন। এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে কাতার। দেশটি গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনার অন্যতম মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা রেখে আসছে।

সম্প্রতি গাজা সিটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার প্রচেষ্টা বাড়িয়েছে ইসরায়েল, যা ওই অঞ্চলের বৃহত্তম নগরী। তারা বাসিন্দাদের সরে যেতে বলেছে এবং বহু উঁচু ভবন উড়িয়ে দিয়েছে, যেগুলোকে তারা হামাসের ব্যবহৃত বলে দাবি করেছে। আগস্টের শেষ নাগাদ জাতিসংঘ অনুমান করেছিল প্রায় ১০ লাখ মানুষ শহর ও আশপাশে বসবাস করছে। তারা সেখানে দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করেছে এবং এর জন্য ইসরায়েলি সাহায্য সীমাবদ্ধতাকে দায়ী করেছে। প্রায় দুই বছরের যুদ্ধজুড়ে আন্তর্জাতিক সমালোচনা অগ্রাহ্য করে আসছে নেতানিয়াহু সরকার, তবে এ সপ্তাহে তা আরও বেড়েছে।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ শুক্রবার ইসরায়েলের বিরোধিতা অগ্রাহ্য করে দুই–রাষ্ট্র সমাধান পুনরুজ্জীবিত করার পক্ষে ভোট দিয়েছে। গাজা যুদ্ধ ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের আচরণে বিরক্ত হয়ে ইসরায়েলের মিত্র ব্রিটেন ও ফ্রান্স আরও কয়েকটি পশ্চিমা দেশের সঙ্গে মিলে, এ মাসে জাতিসংঘের এক বৈঠকে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।