মধ্যপ্রাচ্যগামী বিমানে বসে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি লাইভস্ট্রিমে দেখছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গাজায় যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণে মধ্যপ্রাচ্য সফরে আসছেন তিনি। আগামী এক ঘণ্টার মধ্যেই ইসরায়েলে পৌঁছাবেন ট্রাম্প। দেশটির পার্লামেন্ট নেসেটে ভাষণ দিয়ে কায়রোতে গাজা সামিটে যোগ দেবেন তিনি। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলিন ল্যাভিট এ কথা নিশ্চিত করেন।
এরইমধ্যে ইসরায়েলের ৭ জিম্মিকে রেড ক্রসের হাতে সমর্পণ করেছে হামাস। এর আগে গাজায় আটক ২০ জন জীবিত জিম্মি এবং ইসরায়েলে বন্দি ১ হাজার ৯০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনির নাম প্রকাশ করেছে ফিলিস্তিনের এই প্রতিরোধ সংস্থা। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী, সোমবার ইসরায়েলের সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে হামাসের। বাকি ১৩ জিম্মিকে স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে মুক্তি দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিনিময়ে ইসরায়েলে আটক দুই হাজার ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হবে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে গাজায় থাকা ৪৮ জন জিম্মির মধ্যে ২০ জন বেঁচে আছেন।
এদিকে জিম্মিদের মুক্তির অপেক্ষায় তাঁদের পরিবার সোমবার সকাল থেকেই রেইম সামরিক ঘাঁটিতে এবং সমর্থকেরা তেল আবিবের ‘হোস্টেজ স্কয়ার’-এ সমবেত হয়েছেন। এ সময় কারো হাতে ছিল ইসরায়েলি পতাকা। আবার কারো কারো হাতে জিম্মিদের প্রতিকৃতি দেখা গেছে। অন্যদিকে ফিলিস্তিনি বন্দিদের পরিবার গাজার নাসের হাসপাতাল এবং অধিকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে নিজ নিজ বাড়িতে তাদের মুক্তির অপেক্ষায় দিন গুনছেন।
আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটি (আইসিআরসি) বন্দিবিনিময়ের পুরো প্রক্রিয়াটি তত্ত্বাবধান করবে। ইসরায়েলি জিম্মিদের নেওয়ার জন্য তাদের বাসগুলো মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকায় পৌঁছেছে। অন্যদিকে ফিলিস্তিনি বন্দিদের ফিরিয়ে আনতে আইসিআরসির কয়েকটি যানবাহন ইসরায়েলের ওফের এলাকায় একটি কারাগারের সামনে অপেক্ষা করছে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন