ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংস্থা হামাস জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপ সরানোর জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি না থাকায় তারা এখনই অবশিষ্ট জিম্মিদের লাশ ফেরত দিতে পারছে না। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ‘টাইমস অব ইসরায়েল’।
হামাস বলেছে, গাজা থেকে জিম্মিদের লাশ ফিরিয়ে দিতে সময় লাগতে পারে, কারণ এসব মৃতদেহ ইসরায়েলের অভিযানে ধ্বংস হওয়া সুড়ঙ্গগুলোর ভেতরে বা ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হামাস আরও দাবি করেছে, লাশ উদ্ধারের জন্য ধ্বংসস্তূপ সরানোর বিশেষ যন্ত্রপাতি প্রয়োজন। কিন্তু ইসরায়েল এসব যন্ত্রপাতি গাজায় প্রবেশ করতে দিচ্ছে না, যার ফলে মৃতদেহ উদ্ধারের কাজ স্থগিত রয়েছে।
ফিলিস্তিনি এই সংগঠনটি আরও জানায়, তারা গাজা চুক্তির প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ এবং জিম্মিদের সব মৃতদেহ হস্তান্তরে আগ্রহী। তবে তাদের দাবি, দেরির জন্য ইসরায়েলই দায়ী।
গাজা যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘শান্তি পরিকল্পনা’র প্রথম ধাপ কার্যকর করার বিষয়টি ইসরায়েল ও হামাস দুই পক্ষ মেনে নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে গত সোমবার দুপুরের মধ্যে গাজায় থাকা অবশিষ্ট ৪৮ জন (জীবিত ও মৃত) ইসরায়েলি জিম্মির সবাইকে হস্তান্তর করার কথা ছিল।
গাজা শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপের অংশ হিসেবে হামাসকে মোট ২৮ জিম্মির মরদেহ ফেরত দিতে হবে। এ পর্যন্ত হামাস ফেরত দিয়েছে ৯ জিম্মির মরদেহ। গাজায় এখনো ১৯ জিম্মির মরদেহ নিখোঁজ রয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হামাসের পক্ষ থেকে জিম্মিদের লাশ ফেরত দিতে (নির্ধারিত সময়ের মধ্যে) ব্যর্থ হওয়ায় তারা উপত্যকাটিতে মানবিক সহায়তা সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেই সঙ্গে মিশরের সঙ্গে রাফা সীমান্ত ক্রসিং খুলে দেওয়ার পরিকল্পনাও পেছানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন