ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি প্রস্তাব মেনে গাজায় যুদ্ধবিরতিতে স্বাক্ষরের পর, এ পর্যন্ত ৪৭ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে ইসরায়েল, হত্যা করেছে ৩৮ ফিলিস্তিনিকে। এরমধ্যেই রাফা সীমান্তও বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ফলে যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ কী হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
গোলাবর্ষণ, টার্গেট হামলা ও বেসামরিকদের ওপর গুলি চালানোর অভিযোগ এনেছে স্থানীয় প্রশাসন। গাজার গণমাধ্যম অফিস জানিয়েছে, এসব হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে ট্যাংক, ড্রোন ও সেনা যান। শেজাইয়া, আল-তুফাহ ও যায়তুনে সেনা মোতায়েন অব্যাহত রেখেছে দখলদার নেতানিয়াহু বাহিনী। খান ইউনিস থেকেও সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়নি। এমনকি বেইত লাহিয়া ও বেইত হানুনে এখনো ফিলিস্তিনিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ রয়েছে।
এই অবস্থার মধ্যে গাজার একমাত্র আন্তর্জাতিক প্রবেশদ্বার রাফা সীমান্ত খুলে দেওয়ার কথা থাকলেও তা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তার দাবি, হামাস এখনো সব মৃত জিম্মির মরদেহ ফেরত দেয়নি, তাই সীমান্ত খোলা সম্ভব নয়। রাফা সীমান্ত পুনরায় খোলা ও মানবিক সহায়তা প্রবেশের বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির অন্যতম প্রধান শর্ত ছিল। ওই চুক্তির লক্ষ্য ছিল যুদ্ধ বন্ধ করে গাজার মানবিক সংকট কিছুটা লাঘব করা।
ফিলিস্তিনি দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, গেল সোমবার থেকে রাফা খুলে দেওয়ার কথা। কিন্তু নেতানিয়াহুর সিদ্ধান্তে তা স্থগিত হয়ে যায়। স্বাধীনতাকামী সংগঠনের দাবি করেছে যে, রাফাহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন। হামাস জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে ইসরায়েল রাফাহ সীমান্ত বন্ধ রাখলে বন্দিদের মরদেহ হস্তান্তর বিলম্বিত হবে।
এদিকে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় শনিবার রাতে গাজায় আরও দুই ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ রেডক্রসের কাছে হস্তান্তর করেছে হামাস। এ নিয়ে ১২ জিম্মির লাশ ফেরত দিল হামাস। যুদ্ধবিরতির শর্তানুযায়ী, ২৮ জিম্মির মরদেহ ফেরত দিতে হবে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠীকে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন