হন্ডুরাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মধ্যপন্থী লিবারেল পার্টির নেতা সালভাদর নাসরাল্লা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সমর্থিত প্রার্থী নাসরি আসফুরার চেয়ে সামান্য এগিয়ে গেছেন। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) প্রায় ৬৮ শতাংশ ভোট গণনা শেষে নির্বাচন কর্তৃপক্ষ এমন তথ্য দিয়েছে।
হন্ডুরাসে গত রোববার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হয়। এরই মধ্যে ভোট গণনায় দেরি হওয়াকে কেন্দ্র করে নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে নির্বাচনী কর্তৃপক্ষ আংশিক ভোট গণনায় প্রাপ্ত সর্বশেষ ফল প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, ৬৮ শতাংশ ভোট গণনা শেষে নাসরাল্লা পেয়েছেন ৪০ দশমিক ১৩ শতাংশ ভোট এবং ন্যাশনাল পার্টির আসফুরা পেয়েছেন ৩৯ দশমিক ৭১ শতাংশ ভোট।
প্রধান দুই প্রার্থীর মধ্যে ভোটের ব্যবধান ৯ হাজার ১২৯। এর আগে সোমবার প্রকাশিত আংশিক ফলাফলে আসফুরা প্রায় ৫২৫ ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন।
মঙ্গলবার প্রকাশিত ফলে ক্ষমতাসীন বামপন্থী দল লিব্রে পার্টির রিক্সি মোনকাদা ১৯ দশমিক ০৯ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন।
এদিকে ভোট গণনায় জালিয়াতির অভিযোগ তোলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে প্রাথমিকভাবে দ্রুত ভোট গণনার ব্যবস্থায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। এতে যে ওয়েব পোর্টালে তাৎক্ষণিকভাবে ফলাফলের তথ্য হালনাগাদ করার কথা ছিল, সেটিতেও সমস্যা তৈরি হয়েছে।
ওই ত্রুটির কারণে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রায় ২০ শতাংশ ভোট গণনার বাইরে থেকে যায় বলে জানায় দেশটির নির্বাচনি কর্তৃপক্ষ। এ জন্য সবাইকে ধৈর্য ও প্রজ্ঞার পরিচয় দিতে অনুরোধ করেন কর্তৃপক্ষ।
ভোট গণনা চলাকালে হন্ডুরাসের সাবেক প্রেসিডেন্ট জুয়ান অরল্যান্ডো হার্নান্দেজকে গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের একটি কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব প্রিজনসের এক নথিতে এমনটা উল্লেখ আছে। হার্নান্দেজ যুক্তরাষ্ট্রে মাদক চোরাচালান ও আগ্নেয়াস্ত্রসংক্রান্ত অভিযোগে ৪৫ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছিলেন।
অর্গানাইজেশন অব আমেরিকান স্টেটস নামের সংগঠনটি হন্ডুরাসে ভোট পর্যবেক্ষণ করেছে। তারা বলেছে, রোববারের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি অনেক ছিল। দেশজুড়ে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ হয়েছে। সংগঠনটি গত সোমবার দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘দেশটির কিছু শহরে বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনা বাদ দিলে ভোট গ্রহণ স্বাভাবিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে।’
তবে ভোট গণনা দীর্ঘায়িত হলে নির্বাচনী পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে এবং বিক্ষোভ–সহিংসতা শুরু হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নির্বাচনী কর্তৃপক্ষ বলেছে, তারা এখন গণনা–সম্পর্কিত তথ্য সরাসরি সংবাদমাধ্যম ও রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে প্রকাশ করবে। জনগণ যেন ফলাফলের দিকে নজর রাখতে পারে, তা নিশ্চিত করতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।



