রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৫, ০৬:১৪ এএম

লন্ডনে ফিলিস্তিনপন্থি সমাবেশ থেকে গ্রেপ্তার ৪ শতাধিক

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৫, ০৬:১৪ এএম

লন্ডনে ‘ফিলিস্তিন অ্যাকশন’ গ্রুপের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। ছবি- সংগৃহীত

লন্ডনে ‘ফিলিস্তিন অ্যাকশন’ গ্রুপের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। ছবি- সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের লন্ডনে ‘ফিলিস্তিন অ্যাকশন’ গ্রুপের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে আয়োজিত সমাবেশ থেকে ৪২৫ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত এ বিক্ষোভে প্রায় দেড় হাজার মানুষ অংশ নেন বলে জানায় আয়োজক সংগঠন ডিফেন্ড আওয়ার জুরিস। তারা দাবি করে, বিক্ষোভকারীরা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে গ্রেপ্তার হওয়ার ঝুঁকি নিয়েই এ সমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন।

ডিফেন্ড আওয়ার জুরিস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ পোস্ট করে জানায়, পুলিশ নির্মমভাবে বিক্ষোভকারীদের আক্রমণ করেছে এবং প্ল্যাকার্ডে ‘আমি গণহত্যার বিরোধিতা করি, আমি ফিলিস্তিন অ্যাকশনের পক্ষে’—এমন স্লোগান তোলার জন্য গণগ্রেপ্তার চালায়।

বার্তা সংস্থা প্রেস অ্যাসোসিয়েশন জানায়, সংঘর্ষের সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এক বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তারের পর রক্তাক্ত অবস্থায় দেখা যায়। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের তীব্র বাগবিতণ্ডা হয় এবং তাদের দিকে পানির বোতল ও প্লাস্টিকের বোতল ছোড়া হয়। একপর্যায়ে ভিড়ের মধ্যে পড়ে গিয়ে বেশ কয়েকজন আহতও হন।

মেট্রোপলিটন পুলিশ এক বিবৃতিতে দাবি করে, পার্লামেন্ট স্কয়ারে বিক্ষোভ চলাকালে তাদের সদস্যরা ভয়াবহ হামলার শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ সদস্যকে আক্রমণ এবং নিষিদ্ধ সংগঠনের প্রতি সমর্থন জানানোর অভিযোগে ৪২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গত জুলাইয়ে যুক্তরাজ্য সরকার ‘ফিলিস্তিন অ্যাকশন’ গ্রুপকে টেররিজম অ্যাক্ট ২০০০-এর আওতায় নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। এর বিরুদ্ধে চলমান প্রতিবাদের অংশ হিসেবে এই বিক্ষোভ করা হয়।

গত জুনে গ্রুপটির সদস্যরা ইংল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে একটি বিমানঘাঁটিতে প্রবেশ করে দুটি বিমানে প্রায় ৭০ লাখ পাউন্ডের ক্ষতি করে। এরপরই সংগঠনটির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এখন থেকে সংগঠনটির সদস্যপদ গ্রহণ বা সমর্থন জানানো অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে, যার সর্বোচ্চ শাস্তি ১৪ বছর কারাদণ্ড।

লেখিকা স্যালি রুনি ও ব্যান্ড ম্যাসিভ অ্যাটাক-এর সদস্য রবার্ট ডেল নাজার মতো আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত ব্যক্তিরাও সংগঠনটির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।

হাইকোর্ট ইতোমধ্যেই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে সংগঠনটির মামলা গ্রহণ করেছে। এ রায় বাতিল করতে সরকারের আপিল শুনানি ২৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।

‘ফিলিস্তিন অ্যাকশন’র সহপ্রতিষ্ঠাতা হুদা আম্মোরি এ নিষেধাজ্ঞাকে ‘বিপর্যয়কর’ উল্লেখ করে বলেছেন, এটি নাগরিক স্বাধীনতার ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলবে।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল যুক্তরাজ্যের কর্মকর্তা কেরি মস্কোজিউরি বলেন, ‘যখন সরকার শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে বসে থাকা মানুষকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেপ্তার করছে, তখন বোঝা যায় যুক্তরাজ্যে ভীষণ ভুল হচ্ছে। ফিলিস্তিন অ্যাকশনকে সমর্থন দেওয়া মানেই সহিংসতাকে উসকে দেওয়া বা ঘৃণা ছড়ানো নয়।’

এদিকে আগের বিক্ষোভগুলোতে ইতোমধ্যেই ৭০০ জনের বেশি গ্রেপ্তার হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু ৯ আগস্ট লন্ডনে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশেই ৫৩২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়, যা ১৯৬০-এর দশকের পর রাজধানীতে সর্ববৃহৎ গণগ্রেপ্তার হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

মাইক হিগিন্স (৬২) নামের এক অন্ধ ব্যক্তি ৯ আগস্টের গ্রেপ্তারের পর শনিবার ফের প্রতিবাদে অংশ নেন। তিনি বলেন, ‘আমার আর কী বিকল্প আছে? আমরা ছাড়া এই গণহত্যা থামাতে কেউ কিছু করছে না। আর আমি নাকি সন্ত্রাসী? এটিই সবচেয়ে বড় কৌতুক।’

Link copied!