চলতি সপ্তাহের শেষেই ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) ওয়াশিংটনে মার্কিন মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে এই আশাবাদ প্রকাশ করেছেন উইটকফ। সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও উপস্থিত ছিলেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত উইটকফ বলেন, আমাদের চারটি ইস্যু ছিল এবং দু’দিন আলোচনার পর আমরা একটি ইস্যুতে নেমে এসেছি। সেটি হলো ‘যুদ্ধবিরতি’। আমরা আশা করছি, এই সপ্তাহের শেষ দিকে আমরা একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে পারব। যা আমাদেরকে (গাজায়) ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির দিকে নিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, সম্ভাব্য ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির সময় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস জীবিত ১০ জন জিম্মি এবং ৯ জন জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করবে।
বৈঠকে গাজার পরিস্থিতিতে ‘ট্র্যাজেডি’ উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, নেতানিয়াহুর সঙ্গে আমি এ ব্যাপারে আলোচনা করব। আমরা এই যুদ্ধ অবস্থা থেকে উত্তরণ চাই।
মন্ত্রিসভার বৈঠকের আগে মার্কিন পার্লামেন্ট কংগ্রেসে বক্তব্য দেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
তিনি বলেন, গাজায় আমাদের কাজ এখনো বাকি রয়ে গেছে। আর সেই কাজ হলো আমাদের জিম্মিদের উদ্ধার করা এবং হামাসের সামরিক ও প্রশাসনিক সক্ষমতাকে ধ্বংস করা। আমাদের নিজেদের এবং সবার মঙ্গলের জন্য গাজাকে একটি ভিন্ন ভবিষ্যতের দিকে পরিচালিত করা জরুরি।
২০২৩ সালের অক্টোবরে শুরু হওয়া গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে কমপক্ষে ৫৭ হাজার ৫২৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এসব হামলায় আহত হয়েছেন এক লাখ ৩৬ হাজার ৩৫০ জন। হতাহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এ ছাড়া ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের সৃষ্টি হয়েছে, যার ফলে উপত্যকায় ভয়াবহ মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে এবং অঞ্চলটি দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে চলে গেছে।
আপনার মতামত লিখুন :