বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৫, ১০:৪৮ এএম

কে এই চার্লি কার্ক, হত্যাকারী সম্পর্কে কী জানা গেল

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৫, ১০:৪৮ এএম

চার্লি কার্ক। ছবি- সংগৃহীত

চার্লি কার্ক। ছবি- সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রে বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) উটাহ ভ্যালি ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস ইভেন্টে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন চার্লি কার্ক। বক্তৃতা দেওয়ার সময় তার ঘাড়ে গুলি লাগে এবং তিনি মঞ্চের ওপর পড়ে যান। এ সময় অনুষ্ঠানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং লোকজন ছুটোছুটি শুরু করে। অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, গুলি লাগার পর কার্কের ঘাড় থেকে রক্ত ঝড়ছে। গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তিনি মারা যান।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলেন চার্লি কার্ক। মৃত্যুর সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী রক্ষণশীল রাজনৈতিক এই নেতার বয়স হয়েছিল ৩১ বছর। তিনি ‘দ্য আমেরিকান কমব্যাক ট্যুর’নামের রাজনৈতিক সফরের অংশ হিসেবে তরুণদের মধ্যে রক্ষণশীল মূল্যবোধ প্রচার করছিলেন। টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএর সহ-প্রতিষ্ঠাতাও ছিলেন, যা যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় কনজারভেটিভ যুব সংগঠন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ সক্রিয় ছিলেন কার্ক। তার অনুসারীর সংখ্যা ৫৩ লাখের বেশি। পাশাপাশি তিনি জনপ্রিয় পডকাস্ট ও রেডিও শো ‘দ্য চার্লি কার্ক শো’পরিচালনা করতেন। ফক্স নিউজে তিনি সহ-উপস্থাপক হিসেবেও কাজ করেছেন।

ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচারে তরুণ ভোটারদের সমর্থন আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল কার্কের সংগঠন টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ। ট্রাম্পও স্বীকার করেছিলেন, তার দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে কার্কের বড় ভূমিকা ছিল।

কার্কের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে যুক্তরাষ্ট্রের সব সরকারি ভবনে রোববার পর্যন্ত জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘মহান ও কিংবদন্তি চার্লি কার্ক আর নেই। সবাই তাকে ভালোবাসতো, প্রশংসা করত। তিনি এখন আমাদের মাঝে আর নেই। যুক্তরাষ্ট্রের যুবসমাজকে বোঝার বা তাদের হৃদয় জয় করার ক্ষমতা চার্লির চেয়ে বেশি আর কারো ছিল না।

হোয়াইট হাউজ থেকে এক ভিডিও বার্তায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, যারা এই হত্যাকাণ্ডে কিংবা অন্য রাজনৈতিক সহিংসতায় যুক্ত, তাদের প্রত্যেককে খুঁজে বের করা হবে। এমনকি যারা অর্থায়ন বা সহায়তা করছে, তাদেরও।

যদিও হত্যাকাণ্ডের কয়েক ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও অপরাধী সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। এফবিআই জানিয়েছে, তারা এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দিয়েছে এবং উটাহর জননিরাপত্তা কমিশনার বউ ম্যাসন জানিয়েছেন, হামলাকারী এখনো পলাতক।

নিহত হওয়ার কয়েক সেকেন্ড আগে এক দর্শকের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে গণহত্যা নিয়ে আলোচনা করছিলেন কার্ক। উটাহ অঙ্গরাজ্যের গভর্নর এই ঘটনাকে ‘রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড’হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!