ঢাকা বুধবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিভাবান মানুষ নেই, তাই বিদেশি টানতে আগ্রহী ট্রাম্প

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২৫, ০১:৫৩ পিএম
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি- সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, দেশে প্রচুর পরিমাণে প্রতিভাবান মানুষ নেই। আর তাই তিনি বিদেশি প্রতিভাবানদের যুক্তরাষ্ট্রে টানতে আগ্রহী। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, দেশটির প্রয়োজনীয় চাকরির শূন্যতা পূরণে পর্যাপ্ত যোগ্য কর্মী নেই। তাই তিনি এইচ১–বি ভিসার মাধ্যমে দক্ষ কর্মী নেওয়ার পক্ষে।

সাক্ষাৎকারে ফক্স নিউজের সাংবাদিক লরা ইনগ্রাহাম ট্রাম্পের কাছে জানতে চান যে, তাঁর প্রশাসন এইচ১–বি ভিসা কমাবে কি না? কারণ, এর ফলে আমেরিকান শ্রমিকদের বেতন কমতে পারে। ট্রাম্প বলেন, বেতন কমার বিষয়ে ‘আমি একমত, তবে প্রতিভাও আনতে হবে।’ এ সময় ইনগ্রাহাম বলেন, ‘এখানে প্রচুর প্রতিভাবান মানুষ আছে।’ ট্রাম্প জবাব দেন, ‘না, নেই, নেই…কিছু নির্দিষ্ট প্রতিভা নেই, মানুষকে শেখাতে হয়। আপনি কাউকে বেকার লাইন থেকে নিয়ে এসে বলতে পারেন না যে, আমি তোমাকে এমন একটি কারখানায় রাখব যেখানে ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করা হবে।’

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেপ্টেম্বরে জর্জিয়ায় হুন্দাই কারখানায় আইসিই-এর রেইডের উদাহরণ দেন। সেখানে কর্তৃপক্ষ শত শত দক্ষিণ কোরিয়ান ঠিকাদারকে তাদের অভিবাসন পরিস্থিতি নিয়ে গ্রেপ্তার ও দেশত্যাগ করেছিল। ট্রাম্প বলেন, ‘জর্জিয়ায় তারা রেইড করেছিল কারণ তারা অবৈধ অভিবাসীদের বের করতে চেয়েছিল—সেখানে এমন মানুষ ছিল যারা সারা জীবন ব্যাটারি তৈরি করেছে। ব্যাটারি তৈরি করা খুব জটিল। সহজ কাজ নয়। বিপজ্জনক, বিস্ফোরণ অনেক। তারা প্রায় ৫০০-৬০০ জন মানুষ নিয়ে ব্যাটারি বানাচ্ছিল এবং অন্যদের শেখাচ্ছিল। তাদের দেশ থেকে বের করতে চেয়েছিল। লরা, তোমার এ ধরনের দক্ষতা লাগবে।’

এর আগে, গত সেপ্টেম্বরেই ট্রাম্প এইচ-১বি ভিসার জন্য ১ লাখ ডলারের আবেদন ফি আরোপের নির্বাহী নির্দেশে স্বাক্ষর করেন। এটি ছিল অভিবাসী দমন এবং বিদেশিদের দেশে প্রবেশে নতুন সীমাবদ্ধতা আরোপের একটি ধারাবাহিক পদক্ষেপ। এইচ১–বি ভিসা একটি কাজের ভিসা, যা তিন বছর বৈধ থাকে এবং আরও তিন বছর নবায়ন করা যায়। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই প্রোগ্রামটি মার্কিন কোম্পানিগুলোকে প্রতিযোগিতায় রাখে এবং ব্যবসা বাড়ায়, ফলে দেশে আরও চাকরি তৈরি হয়।

সাক্ষাৎকারের প্রথম অংশে, ট্রাম্প ফ্রান্সের সমালোচনা করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে চীনা শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাজায় রাখার পক্ষে বলেন। তিনি বলেন, যেসব দেশ থেকে লোকজন এসে চলে যায় সেসব ‘বহির্গামী দেশের লোকজন থাকা ভালো।’

ইনগ্রাহাম এ সময় বলেন, ‘তারা ফরাসি নয়, তারা চীনা। তারা আমাদের ওপর গুপ্তচর কার্যক্রম পরিচালনা করে। আমাদের বৌদ্ধিক সম্পত্তি চুরি করে।’ ট্রাম্প বলেন, ‘তুমি কি মনে করো ফরাসিরা ভালো?’ ইনগ্রাহাম বলেন, ‘হ্যাঁ।’ ট্রাম্প উত্তর দেন, ‘আমি এতটা নিশ্চিত নই।’