গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২০ দফা পরিকল্পনাকে সমর্থন জানিয়ে ওয়াশিংটনের খসড়া প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। এতে উচ্ছ্বসিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে বিশ্ববাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
নিরাপত্তা পরিষদে সোমবার (১৬ নভেম্বর) ভোটাভুটি হয়। এতে ট্রাম্প-সমর্থিত খসড়া প্রস্তাবটি গৃহীত হয়। এ প্রস্তাবে গাজা উপত্যকার জন্য একটি আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যাবিলাইজেশন ফোর্স বা আইএসএফ) গঠনের অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে।
এরপরই ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করে ট্রাম্প একে ‘অভাবনীয় ভোট’ বলে মন্তব্য করেন। পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ‘কিছুক্ষণ আগে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে অভাবনীয় একটি ভোট হওয়ায় বিশ্ববাসীকে অভিনন্দন। এই ভোটের মাধ্যমে ‘বোর্ড অব পিস’ কে স্বীকৃতি ও সমর্থন জানানো হয়েছে। এর (বোর্ড অব পিস) চেয়ারম্যান হব আমি নিজেই। সঙ্গে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ও মর্যাদাবান নেতারাও যুক্ত হবেন।’
জাতিসংঘের ইতিহাসে এটি ‘সবচেয়ে বড় অনুমোদনের একটি’ হিসেবে বিবেচিত হবে বলে মন্তব্য করেন ট্রাম্প। তিনি লেখেন, ‘বিশ্বজুড়ে এটি শান্তি প্রতিষ্ঠায় নতুন পথ দেখাবে এটি এক সত্যিকারের ঐতিহাসিক মুহূর্ত।’
ট্রাম্প জাতিসংঘ ও নিরাপত্তা পরিষদকে ধন্যবাদ জানান। পোস্টে তিনি নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদেশ চীন, রাশিয়া, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, আলজেরিয়া, ডেনমার্ক, গ্রিস, গায়ানা, দক্ষিণ কোরিয়া, পাকিস্তান, পানামা, সিয়েরা লিয়ন, স্লোভেনিয়া ও সোমালিয়ার নাম উল্লেখ করে ধন্যবাদ জানান।
নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য না হয়েও খসড়া প্রস্তাবটির পক্ষে জোরালো সমর্থন জানানোয় কাতার, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক ও জর্ডানের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান ট্রাম্প। তিনি লেখেন, ‘বোর্ড সদস্যদের নাম এবং আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা কয়েক সপ্তাহের মধ্যে জানানো হবে।’
গাজা নিয়ে ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনার প্রথম ধাপ কার্যকর করতে গত মাসে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এ ধাপে দুই বছর ধরে চলা যুদ্ধ স্থায়ীভাবে অবসানের লক্ষ্যে একটি যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করা এবং ইসরায়েলি জিম্মি ও ফিলিস্তিনি বন্দিবিনিময়ের কথা রয়েছে।
এখন গাজায় একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনকে বৈধতা দেওয়া এবং যেসব দেশ সেখানে সেনা পাঠানোর কথা ভাবছে, তাদের আশ্বস্ত করতে নিরাপত্তা পরিষদের এ প্রস্তাব গ্রহণকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

