সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ২৫০ জনেরও বেশি ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম সামা টিভি। ব্যাপক সামরিক এ ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি সরকারিভাবে গোপন রাখে ভারত। যদিও এই বিপুল প্রাণহানির বিষয়ে ভারত সরকার এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু স্বীকার করেনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানে ২৫০-এর বেশি ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন। সামরিক ও কূটনৈতিক সূত্রগুলো এই তথ্য নিশ্চিত করলেও, ভারত সরকার জনসমক্ষে এই ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা অস্বীকার বা কমিয়ে দেখানোর চেষ্টা করছে।
গোপনে মরণোত্তর সম্মাননা
সামা টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত সরকার ১০০ জনের বেশি নিহত সেনাকে গোপনে মরণোত্তর সম্মাননা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারের লক্ষ্য হলো কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই নীরবে তাদের স্মরণ করা, যাতে এ নিয়ে গণমাধ্যমে আলোচনা না হয়। যেসব সেনারা এই সম্মাননা পেয়েছেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন:
- ৩ জন রাফাল পাইলটসহ ৪ জন বিমানচালক
- ভারতীয় বিমানবাহিনীর (IAF) ৭ সদস্য
- ১০ ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেডের ‘জি-টপ’ পোস্টে কর্মরত ৫ সেনা
- ৯৩ ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেড হেডকোয়ার্টারের ৯ জন সদস্য
- আদমপুর বিমানঘাঁটির এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিটের ৫ অপারেটর
তথ্য গোপন ও পরিবারের ওপর চাপ
সূত্রগুলো জানায়, রাফাল জেট ধ্বংস এবং কৌশলগত ঘাঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর প্রথমে গোপন রাখা হলেও, পরে ঊর্ধ্বতন সেনা ও কূটনৈতিক কর্মকর্তারা এ তথ্য মেনে নিতে বাধ্য হন। নিহত সেনাদের পরিবারকে সরকারি চাপের মুখে পড়তে হয়েছে।
তাদের বলা হয়েছে যেন তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি বা তথ্য শেয়ার না করেন। মোদি প্রশাসন এ বিষয়ে কঠোর তথ্য নিয়ন্ত্রণ ও প্রচারণা কৌশল নিয়েছে।
সংঘর্ষের বাইরেও চলছে তথ্য-যুদ্ধ
সামা টিভির প্রতিবেদন অনুসারে, পাঠানকোট ও উদমপুর বিমানঘাঁটির ক্ষয়ক্ষতির তথ্য আন্তর্জাতিক এবং স্বাধীন ভারতীয় মিডিয়াও নিশ্চিত করেছে, যদিও ভারত সরকার তা এখনো অস্বীকার করে চলেছে। বিশ্লেষকদের মতে, ভারত সরকার সামরিক পরাজয় ও তথ্যসংকট উভয় মোকাবেলায় হিমশিম খাচ্ছে।
পাকিস্তানের কথিত ‘অপারেশন বুনিয়ানুম-মারসুস’-এর সাফল্য, ভারতীয় যুদ্ধবিমান ধ্বংস এবং সেনা হতাহতের দাবি দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। একইসঙ্গে, তথ্য গোপনের কৌশল ও সত্য আড়াল করার অভিযোগে আন্তর্জাতিক মহলেও ভারতের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।